রুমমেট অনিক জানান, রাত ১১টার দিকে তারা ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে হঠাৎ লুবাব অস্বাভাবিকভাবে চিৎকার শুরু করলে তার ঘুম ভাঙে। অদ্ভুত অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা গেলে সে ভয় পেয়ে অন্য ছাত্রদের ডাকেন। পরে তারা সবাই মিলে মাথায় পানি ঢালেন এবং পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় দ্রুত তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি এবং ঘটনাস্থল থেকেও বিশেষ কিছু উদ্ধার হয়নি। তবে চিকিৎসকের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে ‘সায়ানোটিক বডি’ অর্থাৎ বিষক্রিয়ার সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে, যা মাদকজনিতও হতে পারে। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে মরদেহের ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) বলেন, ‘সায়ানোসিড বডি উল্লেখ করা হয়েছে। বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হতে পারে। সেটা মাদকও হতে পারে।’
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, ‘মরদেহতে কোনো আঘাতের চিহৃ নেই। তদন্তে অন্য কোন আলামত পাইনি। তবে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি ওই ছাত্র মাদকাসক্ত ছিলেন কি না ধারণা করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত রির্পোট হাতে পাওয়ার পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’