টাঙ্গাইলে করোনা চিকিৎসায় সংকট; শঙ্কায় প্রায় ৪২ লাখ মানুষ

টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
এখন জনপদে
1

টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাস চিকিৎসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে প্রায় ৪২ লাখ মানুষ। পরীক্ষা না হওয়ায় শনাক্ত সম্ভব হচ্ছে না নতুন রোগী। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ আইসিইউ ইউনিট আর কিট সংকটে বিপাকে চিকিৎসা ব্যবস্থা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে আবারও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে করোনা।

দেশে ফের করোনা সংক্রমণ বাড়লেও, টাঙ্গাইলে করোনা পরীক্ষার জন্য নেই প্রয়োজনীয় কিট। ফলে জ্বর, ঠান্ডা বা শ্বাসকষ্ট নিয়ে আসা রোগীরা পাচ্ছেন না প্রয়োজনীয় সেবা।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ২০২১ সালে চালু হওয়া ১০ বেডের আইসিইউ ইউনিট জনবল সংকটে বন্ধ তিন বছর ধরে। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে চিকিৎসা সরঞ্জাম। টাঙ্গাইল মেডিকেল এবং জেনারেল হাসপাতালের সহযোগিতায় পুনরায় আইসিইউ ইউনিটটি চালুর উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। তবে দুটি হাসপাতালের মধ্যবর্তী যে ট্রমা সেন্টারে আইসিইউ ইউনিট চালু করা হবে সেটিরও বেহাল অবস্থা। এতে চিকিৎসা সেবা নিয়ে শঙ্কায় সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়দের মধ্যে একজন বলেন, ‘আইসিইউ বন্ধ আছে। কিন্তু এটা চালু করা দরকার। করোনা হয়ে গেলে আমরা পরীক্ষা করে জানতেই পারবো না। যেহেতু কিট নাই।’

টাঙ্গাইল জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট মালেক আদনান বলেন, ‘এই করোনা যেন আগের মতো মহামারি আকার ধারণ করতে না পারে সেজন্য পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থা করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।’

করোনা পরীক্ষার কিট না থাকায় রোগী শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানান এক কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক খন্দকার সাদিকুর রহমান বলেন, ‘ট্রমা সেন্টারে একটা আইসোলেশন ইউনিট আছে সেটাকে আমরা ব্যবহার করবো, যদি সেরকম প্রয়োজন হয়। একটা আইসিইউ আছে, এটা হ্যান্ডওভার হবে সেই প্রসেসে আছে।’

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, প্রায় ১৯ হাজার কিটের চাহিদার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে পাঁচটি করে করোনা বেড প্রস্তুতের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অপর দিকে আইসিইউ চালুরও ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. এ এফ এম মাহবুবুল আলম বলেন, ‘১৯ হাজার ৫৫০টি কিট চেয়েছি। আমাদের সারাদেশে যেসব রিকয়ারমেন্ট আছে সেসব যেখান থেকে সাপ্লাই হয় তাদের বরাবর প্রেরণ করেছে। যদি ওইরকম সিচুয়েশন হয় তাহলে আইসিইউ পার্টগুলো করোনার জন্য ডেডিকেটেড করা হবে।’

২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত টাঙ্গাইলে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়, এরমধ্যে মারা যায় প্রায় আড়াই শ’।

এসএস