সদরের চরশেরপুর ইউনিয়নের যোগনীবাগ গ্রাম। চলতি বছর এই গ্রামের প্রায় ৫শ' কৃষক বিভিন্ন জাতের কলা চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি খরচ হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। যেখান থেকে ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা বিক্রি করছেন কৃষক। সব খরচ বাদে বিঘায় লাভ হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
শ্রীবরদীর পাশাপাশি সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকায়ও চাষ হচ্ছে কলা। একবার কলার চারা রোপণে ২৪ মাসে তিনবার ফলন পাওয়া যায়। অল্প শ্রম ও পুঁজিতে ভালো লাভ হওয়ায় অন্য ফসলের তুলনায় দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কলা চাষের পরিধি।
স্থানীয় চাষিরা জানান, পতিত জমিতে ধান কম হয় তাই কলার চাষ করছেন তারা। প্রতি ছড়িতে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা করে লাভ হচ্ছে।
শেরপুরের কলার স্বাদ ও গুনগতমান ভালো হওয়ায় চাহিদা বেশি। জেলার হাটগুলো থেকে দৈনিক বিপুল পরিমাণ কলা অন্তত ২০টি জেলায় সরবরাহ হয়। যা এই অঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
কলাচাষি ও বিক্রেতারা জানান, একজনের কলার চাষ দেখে অন্যজন শুরু করেছে। ১২০০ গাছ লাগানো হয়েছে যা অন্তত ৬ লাখ টাকার মতো বিক্রি করা যাবে। অন্যান্য ফসল থেকে কলা চাষে বেশি সাফল্য আসছে তাই কৃষক কলাচাষের প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে।
বর্তমানে অল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে অধিক লাভবান হওয়ায় কলা হয়ে উঠেছে এক সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল।
কৃষি বিভাগ থেকেও উচ্চফলনশীল জাত এবং আধুনিক কলাচাষে দেয়া হচ্ছে সব ধরনের সহায়তা। ভবিষ্যতে এ চাষ আরও বিস্তৃত হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের।
শেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘এক বিঘা জমিতে কলা চাষে আমাদের প্রায় ১ লাখ টাকার মতো গড়ে লাভ হয়। দিন দিন কলা চাষে কৃষকরা আগ্রহী হচ্ছে, আমরা ও তাদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকি।’