জানা যায়, ৯ জন শিক্ষার্থী মাদরাসায় যাওয়ার জন্য একটি ছোট নৌকায় উঠেছিল। কিন্তু মাঝ নদীতে পৌঁছেই উল্টে যায় নৌকাটি। সাঁতরে তীরে উঠে আসে ৬ জন, বাকি তিন শিক্ষার্থী পানিতে ডুবে যায়।
নিখোঁজদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোফাজ্জল হোসেন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়।
দুপুরের দিকে উদ্ধার করা হয় শাপলার (১৫) নিথর দেহ। শাপলা চর আলগী গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে এবং বিরুই নদীর পাড় দাখিল মাদরাসার শিক্ষার্থী। এখনো নিখোঁজ রয়েছে আবির (৭) ও জুবায়েদ (৬)।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, বছরের পর বছর সেতুর দাবিতে আবেদন জানিয়েও কোনো অগ্রগতি নেই। ফিরোজ আশরাফ শান্ত বলেন, ‘প্রতিবছরই কারো না কারো বুক খালি হচ্ছে। এর শেষ কোথায়?’
উল্লেখ্য, দুর্ঘটনাস্থলটি ময়মনসিংহ জেলার হলেও নিখোঁজ শিশুরা কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বাসিন্দা।