সাভারে গ্যাস সংকটে ভোগান্তিতে লাখো মানুষ, পরিবহন খাতে দুর্ভোগ

গ্যাস না থাকায় রান্না করতে হচ্ছে মাটির চুলায়
এখন জনপদে
0

সাভারের আমিনবাজার এলাকায় ১২ দিন ধরে নেই গ্যাস। ঘরের রান্নায় গ্যাস না পেয়ে বিপাকে ওই এলাকার লাখো মানুষ। খাবারের জন্য বিকল্প উপায়ে লাকড়ির চুলায় রান্না করছেন কেউ কেউ। আবার কারো ভরসা হয়ে উঠেছে হোটেল রেস্তোরাঁ। তবে, গ্যাস সংকট সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করছে সিএনজি স্টেশন ও ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টদের।

সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রাম। ১২ দিন ধরে এলাকায় গ্যাস নেই। তাই রান্না করতে হচ্ছে লাকড়ির চুলায়। পুরো এলাকায় একই দুর্ভোগ। রান্না খাওয়ার সমস্যার পাশাপাশি খাবার কিনে খেতে লাগছে বাড়তি অর্থ।

স্থানীয় বাসিন্দা ডালিয়া বেগম বলেন, ‘ছেলে অফিসে যায়। খাবার নিয়ে যেতে পারে না। কষ্ট করে বাইরে খেতে হয়। আমাদেরও রান্না খাওয়ার সমস্যা হচ্ছে।’

এলাকাবাসী বলছেন, ১২ দিন আগে আমিনবাজার এলাকার প্রধান লাইনে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুন লাগে। নিরাপত্তা বিবেচনায় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তিতাস। এখন পর্যন্ত গ্যাস সংকটের দুর্ভোগ কাটেনি।

তারা জানান, বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে রান্না করতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় একবার চুলার আগুন জ্বলে আরেকবার নিভে। রান্নার অসুবিধার জন্য শুকনো খাবার খেয়ে থাকতে হচ্ছে বলেও জানান অনেকেই।

গ্যাস না থাকায় বন্ধ হয়ে গেছে সিএনজি স্টেশনগুলো। প্রভাব পড়েছে গ্যাস সম্পৃক্ত অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও। দ্রুত সমস্যা থেকে মুক্তি চাইছেন ভুক্তভোগীরা।

সিএনজি পাম্পের ম্যানেজার বলেন, ‘আমাদের সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে আছে। ড্রাইভারদেরও অনেক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তিতাস গ্যাসের আধুনিক কোনো যন্ত্রপাতি না থাকার কারণে আমরা অনেকদিন ধরে ভোগান্তিতে আছি।’

এদিকে, তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়, দুর্ঘটনার পর মেরামত শুরু হলেও লিকেজ স্থলে অত্যধিক বালু থাকায় বেগ পেতে হচ্ছে। এছাড়াও ওই এলাকায় লোডশেডিং বাড়ায় মেরামতে কিছুটা ধীরগতি দেখা দিয়েছে।

জরুরি গ্যাস নিয়ন্ত্রণ শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী রিফাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘একটা জায়গায় আমাদের পাইপ আছে। ওই জায়গাটা চিহ্নিত করে ফাঁকা রাখা হয়েছে। এদিক দিয়েই প্রচুর পরিমাণে বালু এবং পানি আসছে। আপাতত ওইখানে একটা ৩ মিলিমিটার শিট দ্বারা সাপোর্ট দেয়া হয়েছে। আমরা আশা করছি আগামী এক দুইদিনের ভেতর কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।’

দ্রুত গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত ও ভবিষ্যতে এমন পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার দাবি স্থানীয়দের।

ইএ