গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ডাকা সমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপরই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে কারফিউ জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
কারফিউ বিরতির সময় কাঁচাবাজারসহ প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। তবে কিছু ক্রেতা-বিক্রেতাদের অতিরিক্ত দাম আদায়ের অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান পিয়ালসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০ জনকে আসামি করে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেছে পুলিশ।
গোপালগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুর রহমান জানান, ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে আসামিদের শনাক্ত করা হচ্ছে। অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গোপালগঞ্জের সহিংসতায় গুলিবিদ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায়। এতে মোট প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে হলো পাঁচ।
কারফিউ চলাকালে শহরের প্রধান সড়ক, অলিগলি এবং প্রবেশপথগুলোতে টহল ও তল্লাশি চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।