এর আগে সোমবার (২১ জুলাই) যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার সময় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ক্লাস নিচ্ছিলেন মাসুকা বেগম। ইংরেজি মাধ্যমের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন তিনি। দুর্ঘটনায় তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করে তাকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেয়া হয়। পরে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ১২টার দিকে মৃত্যু হয় তার।
এদিকে মৃত্যুর আগে হাসপাতালে আরেক শিক্ষককে বলে যাওয়া শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সোহাগপুরে দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন:
এর আগে এক কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ২০ জন শিক্ষার্থীকে বাঁচিয়ে চিরবিদায় নেন বাংলামিডিয়াম শাখার শিক্ষিকা মাহরিন চৌধুরী।
সোমবার দুপুরে মর্মান্তিক সে দুর্ঘটনায় দগ্ধ হন মাহরিন। নিজের জীবন বাজি রেখে শিক্ষার্থীদের ভবন থেকে বের করে আনেন। অথচ চাইলে নিজে আগে বেরিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু আদর্শ শিক্ষক কখনো তার দায়িত্ব থেকে পিছু হটেন না, এ বিশ্বাসই যেন তার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত বহন করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। আজ বিকেল ৪টায় তাকে তার গ্রামের বাড়ি নীলফামারীর জলঢাকার বগুলাগাড়ি চৌধুরী পাড়ায় বাবা-মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হয়।