ফরিদপুর নদীবন্দর এ অঞ্চলের বৃহৎ ব্যবসায়িক কেন্দ্র। পদ্মা নদীতে পানি বাড়লে সিএন্ডবি ঘাট নৌবন্দরে ফিরে পায় কর্মচাঞ্চল্য।
বছরের ছয় থেকে আট মাস আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার জুড়ে দেখা মেলে কর্মব্যস্ততার। বন্দরটিতে দূরদূরান্ত থেকে আসতে থাকে ছোট বড় লাইটার জাহাজ। শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আর প্রায় ৫ হাজার কুলি শ্রমিকের নিশ্চিত হয় জীবিকা।
এই নদীবন্দরে খালাস হয় সিমেন্ট, সার, চাল, গম, কয়লা, বালুসহ বিভিন্ন সামগ্রী। তবে শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি নেমে গেলে ব্যস্ততা কমে আসে নদী বন্দরে।
ফরিদপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক প্রেসিডেন্ট আওলাদ হোসেন বাবর বলেন, ‘বন্দরটার ড্রেজিং করার মাধ্যমে সারা বছর নাব্যতা ধরে রাখা গেলে অন্যান্য অনেক জেলা থেকে এ নদীপথে পণ্য আনা নেয়া সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।’
২০১৫ সালে নদীবন্দর ঘোষণা করা হয় সিএন্ডবি ঘাটকে। পরে ২০১৭ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত হয় বন্দরটি। চট্টগ্রাম, মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে এ বন্দরটির ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই শুষ্ক মৌসুমেও যাতে নদীবন্দরটি সক্রিয় রাখা যায় সেই দাবি করেছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।