
পদ্মা সেতুর প্রকল্প এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন, নদীতে বিলীন ৮০০ মিটার বাঁধ
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু প্রকল্প এলাকা রক্ষা বাঁধটির ৮০০ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ফলে, ঝুঁকির মুখে রয়েছে সেতু সংলগ্ন অবকাঠামো ও হাট-বাজার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও বিস্তীর্ণ জনপদ। অব্যাহত ভাঙন ঝুঁকিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে অন্তত ৬০০ পরিবার।

শরীয়তপুরে পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন বহু স্থাপনা
শরীয়তপুরের জাজিরায় আবারো ভয়াল রূপ ধারণ করেছে পদ্মা। ভাঙনের শিকার হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে গাছপালাসহ বহু স্থাপনা। স্থানীয়রা এ বিষয়ে জানায়, ভোর থেকেই নদীর ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করে। আলমখা কান্দির জিরো পয়েন্ট এলাকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পরক্ষা বাঁধের শেষ অংশ ভেঙে যায়। নিমিষেই পদ্মার গর্ভে তলিয়ে যায় গাছপালা। আলমখা কান্দি জামে মসজিদের দোতলা পাকা ভবনটি ভাঙনের শিকার হয়ে পদ্মা নদীতে ডুবে যায়।

শরীয়তপুরে ভাঙনের কবলে তীরবর্তী মানুষ, ভিটেমাটি ছাড়া তিন শতাধিক পরিবার
শরীয়তপুরে পদ্মা-মেঘনার ভাঙনে দিশেহারা তীরবর্তী মানুষ। এক মাসে ভিটেমাটি হারিয়েছে তিন শতাধিক পরিবার। হুমকিতে রয়েছে হাট-বাজার, বসতবাড়ি, রাস্তাসহ প্রায় ১৮শ' স্থাপনা। ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেললেও তা টিকছে না।

পদ্মায় পানি বাড়লেই ফরিদপুর নদীবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যে ফেরে প্রাণ
পদ্মায় পানি বাড়লেই ফরিদপুরের একমাত্র নদীবন্দর ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। বন্দরটিতে দূরদূরান্ত থেকে আসতে থাকে ছোট-বড় লাইটার জাহাজ। আর এতেই বন্দর ঘিরে বেড়ে যায় ব্যবসার পরিধি।

শিবগঞ্জে পদ্মায় ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার উজিরপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ (রোববার, ২০ জুলাই) দুপুরে উজিরপুর এলাকায় গোসল করতে গিয়ে পানিতে ডুবে তাদের মৃত্যু হয়।

পদ্মার গতিপথ পরিবর্তন: ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার
পদ্মাসেতুর মাধ্যমে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হলেও বিশাল এ স্থাপনার প্রভাব পড়েছে নদীর প্রবাহে। সেতু এলাকায় হারিয়েছে চিরচেনা প্রমত্তার রূপ। পলি পড়ে সৃষ্টি হয়েছে বিশাল চর। নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। গেলো ৮ মাসে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে সেতু প্রকল্প রক্ষা বাঁধের ৫শ মিটার। ভাঙনে সর্বস্ব হারিয়েছেন আড়াই শতাধিক পরিবার। কর্তৃপক্ষ বলছে মরফোলজিক্যাল জরিপ শেষেই নেয়া যাবে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।

পদ্মার ভাঙনে জাজিরায় আশ্রয়হীন ২৬ পরিবার
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদীর ভাঙনে আশ্রয়হীন ২৬টি পরিবার। ভাঙন থামলেও আতঙ্ক কাটেনি ভাঙন কবলিতদের মাঝে। ঘর-বাড়ি সরিয়ে আশ্রয় নিচ্ছেন নিরাপদ স্থানে। বৈরী আবহাওয়া ভোগান্তি বাড়িয়েছে তাদের। পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি ভাবে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে কাজ শুরু করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাঙন কবলিতদের মাঝে নগদ টাকা, টিন ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

৫৮০ মিটার সেতুর কাজ শেষ হয়নি সাত বছরেও
ফরিদপুরে পদ্মার শাখা নদীতে সাত বছরেও শেষ হয়নি ৫৮০ মিটারের একটি সেতুর নির্মাণ। কাজ শেষ হতে আরো দু’বছর লাগবে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে, তাদের মেয়াদ চলতি বছরের জুনেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রকৌশলী। এদিকে, সেতু নির্মাণে ধীরগতিতে ক্ষুব্ধ পদ্মা পাড়ের বাসিন্দারা। দ্রুত সেতুটি চলাচলের উপযোগী করার দাবি তাদের।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ
পদ্মা নদীতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়। তবে এই রুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবকি রয়েছে।

নববর্ষ সামনে রেখে ইলিশ শিকারে বেপরোয়া জেলেরা
পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ ধরতে নেমেছে অসাধু জেলেরা। অন্যান্য সময়ের তুলনায় বৈশাখে ইলিশের দাম কয়েক গুণ বেশি থাকায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তারা। কিছু অসাধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অর্থের বিনিময়ে প্রকাশ্যেই চলছে মাছ ধরা ও বিক্রি। অথচ জাটকা রক্ষায় নদীতে চলছে সকল ধরনের মাছ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা কার্যক্রম।

পদ্মায় নৌকাডুবির ১৬ ঘণ্টা পর স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার
পাবনায় পদ্মা নদীতে নৌকাডুবির ১৬ ঘণ্টা পর নিখোঁজ স্বামী-স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ (শনিবার, ৫ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে সাতবাড়িয়ায় পদ্মা নদীর মাঝ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে নৌ পুলিশ।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে চলছে মাছ শিকার
উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকার নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করতে দেশের ৫টি অভয়াশ্রমে চলছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা। শরীয়তপুরের পদ্মাতেও ২০ কিলোমিটার অভয়াশ্রমে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানছেন না জেলেরা। মাছ শিকারের পর তা বিক্রি হচ্ছে নদী তীরেই। জেলেদের অভিযোগ সময়মতো খাদ্য সহায়তা না পাওয়া, ঋণের বোঝা আর ঈদের বাড়তি খরচ মেটাতে নদীতে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।