চালকদের অভিযোগ, ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত অটো রিকশা আটক করে হয়রানি করছে এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত শনিবার (২৬ জুলাই) জেলা সিএনজিচালিত অটো রিকশা পরিবহন মালিক সমিতির জরুরি বৈঠকে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়।
আজ (মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই) ধর্মঘটের তৃতীয় দিনেও জেলার প্রধান সিএনজি স্ট্যান্ডগুলো ছিল ফাঁকা। চালক ও মালিকরা স্ট্যান্ডে অবস্থান নিয়ে ধর্মঘট পালন করছেন। যদিও গত দুই দিন বিভিন্ন যানবাহনের চলাচলে বাধা থাকলেও আজ সকাল থেকে স্বাভাবিক রয়েছে অন্যান্য যানবাহনের গতি।
এদিকে, সিএনজি অটো রিকশা বন্ধ থাকায় যাত্রীরা বাধ্য হয়ে ইজিবাইক ও রিকশায় চলাচল করছেন; যার সুযোগে এসব যানবাহনের চালকরা বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষ ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
জেলা সিএনজিচালিত অটো রিকশা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান বলেন, ‘ট্রাফিক পুলিশ প্রতিনিয়ত হয়রানি করছে। গাড়ি ছাড়াতে মোটা অংকের ঘুষ দিতে হচ্ছে। বারবার অভিযোগ জানালেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ধর্মঘটে গেছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে।’