জামালপুরে জলাবদ্ধতায় বেড়েছে দুর্ভোগ, নিষ্কাশনের আশ্বাস প্রশাসনের

জামালপুর
জলাবদ্ধতায় পানিবন্দি মানুষ
এখন জনপদে
0

জলাবদ্ধতা যেন নিত্য সঙ্গী জামালপুর পৌরবাসীর। সারাবছর দুর্ভোগ থাকলেও বর্ষা মৌসুমে তা বেড়ে দাঁড়ায় দিগুণে। এতে এলাকাবাসীর স্বাভাবিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। নিয়মিত সব ধরনের ট্যাক্স এবং কর পরিশোধের পরও মিলছে না প্রতিকার। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, দ্রুত সময়ের মধ্যেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।

জামালপুর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা হামিদা বেওয়া। দুই মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। বড় মেয়েকে বিয়ে দিলেও ছোট মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না বাড়ির উঠোন এবং বছর জুড়ে আশপাশের জলাবদ্ধতার কারণে।

হামিদা বেওয়া জানান, পানির জন্য ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। টিউবওয়েলের পানিও খাওয়া যায় না। চলাচলের সমস্যা হয়।

হামিদা বেওয়ার মতো পলাশতলা এলাকায় ২ শতাধিক পরিবারের অবস্থা একই। চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিও বছর জুড়ে তলিয়ে থাকে পানির নিচে। প্রায় প্রতিটি বাড়ির আঙ্গিনাই থাকে পানিতে ঠাসা। এছাড়া যানবাহন না পাওয়ায় শিক্ষার্থী, রোগী পরিবহনসহ সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি থাকে চরমে। একই সাথে বছরজুড়ে পানিবাহিত রোগ লেগেই থাকে এখানকার বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ ৪ থেকে ৫ বছর ধরে এখানে চলাচল করা যায় না। ফসলের জমি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে নিয়মিত। খাবারের সমস্যা হয়। এ পানিতে চলাচলের কারণে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি শিশুরা।

এদিকে, পৌরসভা হাটচন্দ্রা, কাজীর আখ ও পলাশতলাসহ বেশ কিছু এলাকায় জলাবদ্ধতায় অনাবাদী প্রায় ৩শ একর জমি। এছাড়া রান্নার কাজ, বিশুদ্ধ পানি ও টয়লেটের সমস্যা তো রয়েছেই। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নিয়মিত সব ধরনের ট্যাক্স ও কর পরিশোধের পর মিলছে না প্রতিকার।

এলাকাবাসী জানান, প্রশাসন বরাবর আবেদন করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি।

পৌরসভার প্রশাসক জানায়, জলাবদ্ধতা নিরসনের বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হচ্ছে। দ্রুতই সমস্যার সমাধান করা হবে।

জামালপুর পৌরসভা প্রশাসক এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, ‘প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আমরা গ্রহণ করবো। এ এলাকার মানুষের যাতে পানিবন্দি না থাকতে হয় তার জন্য সে পানি নিঃসরণের আমরা ব্যবস্থা করবো। একইসাথে এলাকার যে বড় ড্রেনগুলো রয়েছে তার সাথে পানি নিঃসরণের কোনো উপায় আমরা বের করার চেষ্টা করবো।’

প্রায় দেড়শ বছরের পুরনো প্রথম শ্রেণীর জামালপুর পৌরসভায় জলাবদ্ধতা একটি বড় সমস্যা। কর্তৃপক্ষের সঠিক পরিকল্পনায় অচিরেই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের।

ইএ