কক্সবাজারের পেকুয়ার মগনামা ঘাট, প্রতিদিন এ ঘাট হয়ে কুতুবদিয়া দ্বীপে যাতায়াত কয়েক হাজার মানুষ। এখানে এলে চোখ জুড়ায় বিস্তৃত সাগর, জেলেদের মাছ নিয়ে ফেরার দৃশ্য, সমুদ্র উপকূলে আছে মন মাতানো হাওয়া। এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর নতুন গড়ে ওঠা বেড়িবাঁধ সড়ক এখানকার আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট।
প্রতিদিন বিকেলে বা সাপ্তাহিক বন্ধে মগনামা ঘাটে ভিড় করেন শত শত পর্যটক। খুব কাছেই নৌবাহিনীর সাবমেরিন ঘাঁটি। কিন্তু এমন সৌন্দর্য ঢাকা পড়েছে বেড়িবাঁধ সড়কের দুই পাশে গড়ে ওঠা শত শত অবৈধ স্থাপনায়। সমুদ্রের কয়েকশো গজের মধ্যেই সরকারি খাস জায়গায় গড়ে উঠেছে বসতঘর, দোকানপাটসহ অস্থায়ী স্থাপনা। এতে যেকোনো সময় বড় ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘটতে পারে প্রাণহানির ঘটনা।
সেখানে থাকা এক বাসিন্দা বলেন, ‘সরকার যদি অন্য স্থান দেয় তাহলে চলে যাবো। নয়তো বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে।’
শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা বিশাল এ বেড়িবাঁধ সড়কও এখন স্থানীয় শুটকি আর মাছ ব্যবসায়ীদের দখলে। প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়কের ওপরই শুটকি প্রক্রিয়াজাত করে শত শত ব্যবসায়ী। পচা শুটকির তীব্র দুর্গন্ধে এ পথে চলাচল করাই যেন দায়। এতে কমেছে পর্যটক। আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়ানোয় অতিষ্ঠ পর্যটকরা।
স্থানীয়দের ভাষ্য অনুযায়ী, সেখান থেকে ১-২ কিলোমিটার পর্যন্ত গন্ধের কারণে থাকা যায় না। এখন রাস্তা সুন্দর হয়েছে। দূর থেকে মানুষ ঘুরতে আসে। তবে তারা গন্ধের কারণে থাকতে পারে না।
গুরুত্বপূর্ণ এ বেড়িবাঁধ সড়ক আর সমুদ্র উপকূল ঘিরে আকর্ষণীয় পর্যটন স্পট গড়ে তোলা সম্ভব। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এ সমুদ্র উপকূলে মেরিটাইম মিউজিয়াম, উন্নতমানের হোটেল, রেস্টুরেন্টসহ আধুনিক ও পরিকল্পিত বিনোদন কেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার।
কক্সবাজার ইউএনও পেকুয়া মঈনুল আহসান চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। মগনামা ঘাট এবং সাবমেরিন যে সড়কে রয়েছে তা বিভিন্ন পর্যটনের আওতায় নেওয়ার কথা হয়েছে। নৌবাহিনী সেখানে একটি সাবমেরিন মিউজিয়াম করার পরিকল্পনা নিয়েছে। উপজেলার পক্ষ থেকে রেস্টুরেন্ট ছাড়াও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়ার জন্য কাজ করছে।