ধুলো আর কাদাজলে নাকাল চুয়াডাঙ্গার পৌরবাসী

চুয়াডাঙ্গা
খানাখন্দে ভরা সড়ক
এখন জনপদে
0

শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালি, বর্ষায় সড়কে কাদাজল। এ ভোগান্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করছেন চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসী। দু-তিনটি রাস্তা বাদ দিলে শহরের সব রাস্তাই বেহাল। সামান্য বৃষ্টিতেই ডুবে যায় পৌর এলাকার অধিকাংশ রাস্তা। যদিও পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।

কাগজে কলমে প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও খানাখন্দে ভরা প্রতিটি সড়ক। ভেঙে পড়েছে পৌর এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থাও। সামান্য বৃষ্টিতেই তৈরি হয় জলাবদ্ধতা। দিনের পর দিন এমন বেহাল পড়ে থাকলেও দেখার নেই কেউ ।

ভাঙা সড়কে মাঝে মাঝে কিছু সংস্কার করা হলেও দু’সপ্তাহের বেশি যায় না। প্রশস্ত রাস্তাগুলোর পিচ উঠে দেখা দিয়েছে বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে দুর্ঘটনা। নষ্ট হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহনের যন্ত্রাংশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘পৌরসভায় প্রতি বছরই ভ্যাট-ট্যাক্স পরিশোধ করি। কিন্তু রাস্তা ঘাটের অবস্থা ভালো না। মানুষ চলাচল করতে পারছে না। প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে।’

প্রায় ৩৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায়, প্রায় ২ লক্ষাধিক মানুষ চলাচল করে সড়ক দিয়ে। অযোগ্য এসব সড়ক এখন নিত্যদিনের ভোগান্তির অংশ। শুধু তাই নয় অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনায় সামান্য বৃষ্টিতেই পানি উঠে পড়ছে বাসা-বাড়িতে।

বাসিন্দারা জানান, গ্রামের রাস্তাগুলো ভালো থাকলেও শহরের রাস্তাগুলো ভাঙা। যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয়। এদিকে পৌর কর্তৃপক্ষ আশ্বাস দিয়ে বলছেন, জলাবদ্ধতা দূর করতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় চলমান রয়েছে উন্নয়ন প্রকল্প।

চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘এরইমধ্যে টেন্ডার দিয়েছি। সে কাজগুলো সম্পূর্ণ হলে আমাদের চলমান জনদুর্ভোগ দূর হবে। আমাদের ২০ কোটি টাকার টেন্ডার প্রকল্প চলমান আছে। কাজগুলো শেষ হলে চুয়াডাঙ্গার রাস্তা ঘাটগুলো অনেক উন্নত হবে।’

এফএস