উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে চার জেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ অঞ্চলে পানিবদ্ধ বাসিন্দারা
এখন জনপদে
0

উজানের ঢল ও টানা বৃষ্টিতে পদ্মা ও তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে লালমনিরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও ফরিদপুরের নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২৫ হাজার পরিবার। পাশাপাশি বাড়ছে নদী ভাঙনের তীব্রতা।

টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে জুলাই থেকে পদ্মা ও তিস্তার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে আগস্টের প্রথম সপ্তাহ থেকে হঠাৎ অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে পানি।

তিস্তার পানি বাড়ায় প্লাবিত হতে শুরু করেছে নদী তীরবর্তী এলাকা। লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার অন্তত ১৬টি গ্রামের প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি। এতে সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা। দেখা দিয়েছে সুপেয় পানির সংকট। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, উজানের ঢল মোকাবিলায় তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।

এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মার পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে সদর উপজেলার নারায়নপুর, আলাতুলী, উজিরপুর, পাঁকা ও দূর্লভপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল। পানিবন্দি অন্তত ১১ হাজার পরিবার। অবর্ণনীয় দুর্ভোগে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। এদিকে রান্না করতে না পারায় খাবার সংকটে আছেন অনেকে। এছাড়া ছয়টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি ঢুকে বন্ধ রয়েছে পাঠদান।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তাদের ঘর-বাড়ি ভেঙে যাচ্ছে। সড়ক, খেত খামার তলিয়ে যাচ্ছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. আহসান হাবীব বলেন, ‘সাম্প্রতিক উজান থেকে নেমে আসা পানি এবং মৌসুমি বৃষ্টির কারণে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার অববাহিকা অঞ্চলে বেশ কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি ডুকে গিয়েছে। আশা করছি ২-১ দিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে।’

গত সপ্তাহজুড়ে বাড়ছে ফরিদপুরের নদ-নদীর পানিও। এরইমধ্যে কোথাও হাঁটু আবার কোথাও কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে নদী তীরবর্তী ৪ উপজেলার অন্তত ১০ হাজার পরিবার। এছাড়াও তলিয়েছে ফসলি জমি। এদিকে মধুমতি, পদ্মা এবং আড়িয়াল খাঁ তীরবর্তী অঞ্চলে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙন।

রাজশাহীতে পদ্মার পানি বাড়ায় শহরের টি-বাঁধে বন্ধ করা হয়েছে চলাচল। সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দোকানপাট। এছাড়া প্লাবিত হয়েছে চরাঞ্চলের ঘর-বাড়িও।

এফএস