ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের অরুয়াইল ও নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নকে ভাগ করেছে কান্তার খাল। সেতু না থাকায় বর্ষায় নৌকা আর শুষ্ক মৌসুমে পায়ে হেঁটেই খাল পাড় হয় দুই ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
দুই বছর আগে নাইন ব্রিজ প্রকল্পের আওতায় কান্তার খালে সেতু নির্মাণে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হাসান এন্টারপ্রাইজের সঙ্গে চুক্তি করে এলজিইডি। নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, ঢিমেতালে অর্ধেক কাজ করেই লাপাত্তা ঠিকাদার। সেতু নির্মাণ বন্ধ থাকায় ক্ষোভ স্থানীয়দের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ব্রিজের কাজ শুরু করার পর শ্রমিকরা ঠিক সময়ে আসছে না। এখন ব্রিজের কাজ বন্ধ আছে।
আরও পড়ুন:
প্রতিদিন সরাইলের অরুয়াইল, পাকশিমুল এবং নাসিরনগরের চাতলপাড় ইউনিয়নের ২০টিরও বেশি গ্রামের বাসিন্দারা নৌকায় পার হয় কান্তার খাল। দিনে নৌকা চললেও সন্ধ্যা নামতেই খাল পারাপারে নানা বিপত্তি।
তবে, কাজ বন্ধের অভিযোগ ঠিক নয় দাবি করে বর্ধিত মেয়াদের মধ্যেই সেতুর নির্মাণের আশ্বাস এলজিইডির।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ এমদাদুল হক বলেন, ‘ব্রিজটির স্ট্রাকচার অংশের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিছুদিন পরই নতুন কাজ শুরু হবে। আমরা আশা করি এ সিজনের মধ্যেই কাজ শেষ করতে পারবো।’