ঝালকাঠি শহরের শতবর্ষী বড় বাজারে অবকাঠামোগত ঝুঁকি, বর্ষায় ভোগান্তি

ঝালকাঠি শহরের বড় বাজার
এখন জনপদে
0

ঝালকাঠি শহরের শতবর্ষী বড় বাজারের অবকাঠামো দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার হয়নি। বর্ষার সময়ে নিষ্কাশন ড্রেন বন্ধ থাকায় বাজারের ভিতরে জমে থাকে নোংরা পানি। পুরোনো ছাঁদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তারা, যা দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি করেছে। এসব ঝুঁকি এবং ভোগান্তির মধ্যেই প্রতিদিনের বেচাকেনা চলছে।

শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী ঝালকাঠি শহরের বড় বাজার। সময়ের ব্যবধানে এখন জরাজীর্ণ কিচেন মার্কেট, কাঁচা বাজার ও চালের বাজারের টিনের চাল। বৃষ্টির পানি পড়ে ভিজে যায় মালামাল। এছাড়া পান বাজারের পুরোনো ছাদ থেকে খসে পড়ছে পলেস্তরা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, বছরের পর বছর সংস্কারের দাবি জানালেও কাজ হয়নি। বর্ষায় পলিথিন দিয়ে কোনোমতে চালা ঢেকে চলে বেচাকেনা। ড্রেনেজ ব্যবস্থাও বেহাল। দীর্ঘদিন পরিষ্কার না হওয়ায় বর্ষার পানিতে জমে যায় কাদা। দুর্গন্ধ ছড়ায় বাজার জুড়ে। কাদা-জল মাড়িয়ে প্রতিদিন বেচাকেনা করতে হয় ক্রেতা-বিক্রেতাদের। এছাড়া বাজারে নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থাও। প্রতিবছর এ বাজার ইজারা দিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব আয় করলেও বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নে নেয়নি উদ্যোগ।

ক্রেতা ও ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারের পরিকাঠামো খারাপ সঙ্গে সঙ্গে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও খারাপ। সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা ইজারা নেয়, তবে সমস্যা সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেয় না কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন:

ঝালকাঠি বড় বাজার ব্যবসায়ী সমবায় সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ‘দোকানদার-ব্যবসায়ীরা অনেক দুর্ভোগের মধ্যে আছে। সমস্যার কথাগুলো জানানোর পরও তারা যথাযথ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’

পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রথম শ্রেণীর পৌরসভার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাজারটির আধুনিকায়নে বিভিন্ন দপ্তরে প্রকল্প প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই শুরু হবে কাজ।

ঝালকাঠি পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, ‘বড় বাজার কেন্দ্রিক আমাদের প্রকল্প সাবমিট করা আছে। অতি দ্রুতই প্রকল্প অনুমোদন করা হবে। আশা করি আমাদের বড় বাজার প্রথম শ্রেণির একটি বাজারে পরিণত হবে।’

এফএস