জামালপুরের মাদারগঞ্জ বালিজুড়ী বাজার থেকে সরিষাবাড়ীর ভাটারা পর্যন্ত সড়কের দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। যার ৩ কিলোমিটার সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের আর বাকি ১৮ কিলোমিটার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের এখতিয়ারভুক্ত। তবে সড়কের পুরোটা অংশেরই পিচ, ইট, পাথর উঠে সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ।
পুরো সড়কের চারটি এলাকায় গড়ে উঠেছে বড় বড় বাজার। তবে এসব স্থানে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। পানি জমার কারণে সড়কের পিচ উঠে সৃষ্টি হয়েছে ছোট-বড় গর্ত। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে এ সড়কে চলাচলকারী লক্ষাধিক যাত্রী। প্রায় চার বছর ধরে এমন পরিস্থিতি চললেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে চলে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোথায় ভাঙা আছে, কোথায় গর্ত আছে বোঝা যায় না, ফলে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে চলাফেরা করতে হচ্ছে এলাকাবাসীদের।
আরও পড়ুন:
গাড়ীর চালকেরা জানান, তাদের ঝুঁকি নিয়ে সড়কে গাড়ী চালাতে হয়। যেকোনো সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
কর্তৃপক্ষ বলছে, সওজের তিন কিলোমিটার অংশে সড়ক প্রশস্তকরণ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ চলমান। আর এলজিইডি সড়ক সংস্কারের প্রস্তাবনা সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে। বরাদ্দ পেলেই শুরু হবে কাজ।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ জামালপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘প্রকল্পের এ অংশে ঠিকাদার কাজ শুরু করতে পারেনি। এখানে ভূমি অধিগ্রহণ পক্রিয়া চলমান আছে। আমরা যখন জেলা প্রশাসনের থেকে ভূমি পাবো তখন নিদিষ্ট ঠিকাদার কাজ শুরু করবে।’
জামালপুর এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী রোজদিদ আহম্মেদ বলেন, ‘যথাযথ অনুমোদনের জন্য আমরা স্মারক পাঠাবো। প্রকল্পে বরাদ্দ পেলেই আমরা কাজ শুরু করবো।’