দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হিসেবে পরিচিত সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর। পর্যটকদের উপস্থিতিতে জমজমাট পর্যটনকেন্দ্র। জন সমাগম বেড়ে যাওয়ায় হাওরে তুলনামূলক কমেছে অতিথি পাখি। আগের মতো মিলছে না মাছ। তবে পর্যটকের সংখ্যা বাড়ায় ঘটেছে মাদকের বিস্তার।
সম্প্রতি টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে গিয়ে এক তরুণী মদের বোতল হাতে রিলস ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়। এতে স্পষ্ট হয় হাওরে মাদকের সহজলভ্যতা। তাহিরপুরের সীমান্তবর্তী পর্যটন স্পট টাঙ্গুয়ার হাওর, বারিকাটিলা, নীলাদ্রি লেক, লাকমাছড়া এলাকায় এমন ঘটনার প্রমাণ মেলে। চোখে পড়ে শিশু ও তরুণরা বাড়তি টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাদক বহন করছে।
রাতের দৃশ্য আরও ভয়ঙ্কর। নীলাদ্রি লেকসহ পর্যটনকেন্দ্রে থাকা হাউসবোটগুলো মাদকের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়। হাওড়ে মাদকের মোড়ক ফেলায় দূষিত হচ্ছে পানি।
আরর পড়ুন:
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রশাসন এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে। তবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। মাদক নিয়ন্ত্রণে সরকারকে আরও কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান স্থানীয়রা।
বিষয়টি স্বীকার করে জেলা পুলিশ কর্মকর্তা জানান, টাঙ্গুয়ার হাওরে মাদক নির্মূল করতে পুলিশ, জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর নিয়মিত কাজ করছে।
সুনামগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিডিয়া জাকির হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়ে পুলিশ নিয়মিত কাজ করছে। পাশাপাশি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর দেখছেন বিষয়টি। প্রশাসন নিয়মিত আমাদের সহায়তা নিচ্ছে, মোবাইল কোট চালু আছে।’
টাঙ্গুয়ার হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাউসবোটগুলোতে নিয়মিত তল্লাশিসহ নজরদারি বাড়ানোর দাবি সুনামগঞ্জবাসীর।