কুমিল্লায় সড়কে একই পরিবারের চারজনের মৃত্যু: মামলা দায়ের, বন্ধ হচ্ছে ওই ইউটার্ন

কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনা
অপরাধ
এখন জনপদে
2

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লায় পদুয়ার বাজার ইউটার্নে লরির নিচে চাপা পড়ে একই পরিবারের চারজন নিহতের ঘটনায় হানিফ পরিবহনসহ লরির অজ্ঞাতনামা চালকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বিত মতামতের ভিত্তিতে বাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্ন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত না দেয়া পর্যন্ত সদর দক্ষিণ উপজেলার দয়াপুর ইউটার্ন থেকে সব যানবাহনকে ঘুরে আসতে হবে বলে জানানো হয়েছে।

আজ (শনিবার, ২৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আদনান বিন হাসান।

তিনি জানান, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন এলাকাটি সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, হাইওয়ে পুলিশ ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরিদর্শন করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আগামীকাল (রোববার, ২৪ আগস্ট) সড়ক ও যোগাযোগ বিষয়ক একটি সমন্বিত সভা রয়েছে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। সেখান থেকে সমন্বিতভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। আপাতত এ ইউটার্নটি বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনি।

কুমিল্লা ময়নামতি হাইওয়ে ক্রসিং থানার উপ পরিদর্শক মো. আনিসুর রহমান বলেন, ‘গতকাল দুপুরে পদুয়ার বাজার ইউটার্নে চলন্ত লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেট কারকে চাপা দিলে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহত ওমর আলীর ভাই আবুল কালাম বাদী হয়ে উল্টো পথে আসা হানিফ পরিবহন এবং লরির চালকসহ অন্যান্য অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। সদর দক্ষিণ থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:

এর আগে গতকাল (শুক্রবার, ২২ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বাজারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে ইউটার্নে সিমেন্ট বাহি লরির নিচে প্রাইভেট কার চাপা পরে একই পরিবারের চারজন নিহত হয়।

এছাড়াও একইসময়ে ওই লরির সামনের অংশের নিচে চাপা পড়ে সিএনজির তিন যাত্রী আহত হয়। নিহতরা হলেন কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার হোসেনপুর গ্রামের মোহাম্মদ ওমর আলী(৮০), তার স্ত্রী নুরজাহান বেগম (৬৫), তার বড় ছেলে আবুল হাশেম (৫০) ও ছোট ছেলে আবুল কাশেম (৪৫)। প্রাইভেট কারটি চালাচ্ছিলেন আবুল হাশেম।

এসএস