ভোলায় মেঘনার ভাঙন রোধে পাউবো কার্যালয় ঘেরাও ও সড়ক অবরোধ

পানি উন্নয়ন বোর্ড কার্যালয় ঘেরাও
এখন জনপদে
0

মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে ভোলা শহর রক্ষা বাঁধের শিবপুর ও মেদুয়া ইউনিয়নসহ আশপাশের বিস্তীর্ণ এলাকা হুমকির মুখে পড়েছে। এ পরিস্থিতিতে ভাঙন থেকে বাড়িঘর ও ফসলি জমি রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগের দাবিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় ঘেরাও ও ভোলা-চরফ্যাশন আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেছেন কয়েক হাজার এলাকাবাসী।

আজ (সোমবার, ২৫ আগস্ট) সকালে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এরইমধ্যে শতাধিক পরিবার গৃহহীন হয়েছে। হুমকির মুখে রয়েছে শিবপুর মাছ ঘাট, চার ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি এবং ভোলা শহর রক্ষা বাঁধ। পরিস্থিতি মোকাবিলায় স্থায়ী ও টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়ে তারা পাউবো কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেন।

বিক্ষোভকারী জানান, ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন ঠেকাতে কার্যকর উদ্যোগ নিতে ব্যর্থ হওয়ায় এরইমধ্যে এসব এলাকার কয়েকশ’ বাড়িঘর নদীতে তলিয়ে গেছে। হুমকির মুখে পড়েছে শিবপুর মাছ ঘাটসহ চার ইউনিয়নের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি এবং শহররক্ষা বাঁধ।

আরও পড়ুন:

এরইমধ্যে বেসরকারিভাবে একটি ইপিজেডের জন্য জমি নেয়া অংশ ভাঙ্গন আতংকে রয়েছে। অন্যদিকে আর ৩০ মিটার ভাঙ্গলে মূল শহর রক্ষা বাঁধও বিলীন হয়ে যাবে। সম্প্রতি ভাঙন রোধে স্থায়ী টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি নানা কর্মসূচি পালন করেও কোনো কাজ হয়নি। যেকোনো মুহূর্তে বিলীন হতে পারে দুটি ইউনিয়নসহ শহর রক্ষাবাঁধ। পানি বন্দি হতে পারে লক্ষাধিক মানুষ।

এসময় ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দীন আরিফ বিক্ষোভকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘শিবপুরসহ ভাঙনকবলিত এলাকায় আজ থেকেই দ্রুত গতিতে জিও ব্যাগ ও টিউব ব্যাগ ফেলার কাজ শুরু হবে।’

তিনি আরও জানান, মেঘনা নদীর ঝুঁকিপূর্ণ চার কিলোমিটার তীর সংরক্ষণ ও ছয় কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণে ৭৩০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জমা দেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন পেলে দ্রুত স্থায়ী টেকসই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

এসএস