উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, ‘কিভাবে হাওরের সমস্যাগুলোকে কাটিয়ে উঠে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা যায় সে পথ আমরা খুঁজছি। এছাড়া হাওরাঞ্চলে যেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের অসুবিধা। সেসব বিদ্যালয়ে যাতায়াতের জন্য স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে নৌকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চার বিষয়ে পাঠদানের গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। বিষয়গুলো হলো বাংলা, ইংরেজি, বিজ্ঞান ও গণিত। এ বিষয়গুলো শিক্ষার্থীরা ভালোভাবে আত্মস্থ করতে পারলে তাদের আর সমস্যা হবে না।’
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝড়ে পড়ছে। এ বিষয়ে সরকার পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ মাস থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি শুরু হবে। প্রাথমিকভাবে ১৫০টি উপজেলায় কর্মসূচি শুরু করা হবে। পরবর্তীতে সবগুলো উপজেলায় ফিডিং কর্মসূচি শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন:
তিনি আরও বলেন, ‘উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অধীনে আমরা একটি প্রজেক্ট নিচ্ছি। যা এ বছর থেকেই সবগুলো জেলার একটি উপজেলায় শুরু হবে। এ প্রজেক্টের আওতায় যেসব শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে এবং বয়সসীমা পার হয়ে গেছে তাদের আমরা প্রাথমিক বেসিক শিক্ষা প্রদান করবো।’
এর আগে তিনি জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কেন্দুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।
পরে তিনি বরেণ্য লেখক, বুদ্ধিজীবী, প্রাবন্ধিক স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তচিন্তক প্রগতিশীল ধারার অধ্যাপক যতীন সরকারের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস, পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদসহ জেলার প্রশাসনিক পর্যায়ের সকল কর্মকর্তারা।