তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি মামলা বা অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হওয়া উচিত। সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণ পেলে তাদের সরাসরি চাকরিচ্যুত করা হবে।’
মুহাম্মদ আলী আকবর বলেন, ‘আমরা সব অভিযোগের যাচাই বাছাই করেছি। আজ শুনানির মাধ্যমে অনেকগুলো অভিযোগ নিষ্পত্তি হয়েছে।’
এ ধরণের শুনানিতে মানুষ উপকৃত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। শুনানিতে টাঙ্গাইল বিআরটিএ, পাসপোর্ট অফিসসহ কয়েকটি দপ্তর উপস্থিত হয়নি। তাদের শোকজ করা হবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে সকালে প্রথম অধিবেশনে হওয়া আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শরীফা হক। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলী আকবর আজিজী।
আরও পড়ুন:
এসময় দুদকের ঢাকা বিভাগীয় পরিচালক ড. মোহাম্মদ জহিরুল হুদা, জেলা পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, দুদকের মহাপরিচালক মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বক্তব্য রাখেন।
দ্বিতীয় অধিবেশনে গণশুনানি অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দুদকের কাছে করা প্রায় দেড় শতাধিক অভিযোগ পর্যালোচনা করা হয়। এসময় সরাসরি বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে নিষ্পত্তি ও মামলাসহ বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে পুলিশবাহিনীসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরকে তদন্তের নির্দেশনা দেয়া হয়। এ দিন উল্লেখযোগ্য প্রায় ৬৯টি অভিযোগের বিষয় নিয়ে শুনানি করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলাসহ সকল উপজেলার সরকারি দপ্তরের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবা দাতা, সেবা প্রত্যাশী, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরা।