ঢাকা মেডিকেল বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. মো. হারুনুর রশীদ জানান, তাহেরার শরীরের প্রায় ৪১ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং শ্বাসনালীও মারাত্মকভাবে পুড়ে যায়। চিকিৎসকরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও সোমবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হাসান, মা সালমা বেগমসহ একই পরিবারের সাতজন এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে দু-তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন:
ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাত সাড়ে তিনটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সিআইখোলা এলাকার রনি সিটি সংলগ্ন জাকির খন্দকারের টিনশেড বাড়িতে। সেখানে তিনটি ভাড়াটিয়া কক্ষ ছিল।
ফায়ার সার্ভিসের প্রাথমিক ধারণা, ফ্রিজের কম্প্রেসারে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তবে স্থানীয়দের দাবি, ঘটনার মূল কারণ তিতাস গ্যাস লাইনের লিকেজ। তাদের মতে, দুর্ঘটনার পরও কক্ষের নিচে বুদবুদ উঠতে দেখা গেছে, যা গ্যাস লিকের প্রমাণ হতে পারে।
আদমজী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন মাস্টার মিরন মিয়া জানান, বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত শেষ হলে প্রকৃত কারণ জানা যাবে।