যমুনা নদীর তীর ঘেঁষা শহর সিরাজগঞ্জ। প্রতিদিনই নানা প্রয়োজনে বিভিন্ন উপজেলা আর গ্রাম থেকে শহরে আসেন শত শত মানুষ, শহরবাসী রয়েছেন আরও ২ লাখ।
বাসিন্দা ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তার পাশাপাশি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও অপরাধী শনাক্তে ২০২১ সালে পুরো শহরকে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার আওতায় আনে জেলা পুলিশ।
শহরের ৬৫টি পয়েন্টে ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়, যাতে শহরের সার্বিক চিত্র পর্যবেক্ষণ করা হতো পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের মনিটরিং সেল থেকে।
তবে মাত্র ৩ বছরেই হয় বিকল, না হয় খোয়া গেছে প্রায় সবগুলো ক্যামেরাই। সেই সুযোগটাই নিচ্ছে অপরাধ চক্র। গত ১৬ আগস্ট রাতে শহরের ব্যস্ততম বাণিয়াপট্টির এক ব্যবসায়ীর বাসা থেকে লুট হয় স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা।
এছাড়াও শহরের চৌরাস্তা মোড়ে প্রকাশ্য দিবালোকে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাইসহ প্রতিনিয়ত পাড়া মহল্লায়, বসতবাড়িতে ঘটছে ছোট-বড় চুরির ঘটনা।
ব্যক্তিগত সিসি ক্যামেরায় কিছু অপরাধ শনাক্ত হলেও অধিকাংশ অপরাধীই রয়ে যাচ্ছে ধরা ছোঁয়ার বাইরে। অপরাধ প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় শঙ্কিত শহরবাসী।
আরও পড়ুন:
শহরবাসী জানায়, আগে পুলিশের টহল থাকলেও বর্তমানে কোনো পুলিশি টহল দেখা যায় না। সিসি ক্যামেরা না থাকায় নেই তাদের মালপত্রের নিরাপত্তা। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এমন অবনতিতে তাদের দাবি সিসি ক্যামেরাগুলো প্রতিস্থাপন।
সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘সিরাজগঞ্জ শহরকে আবার নতুন করে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা দরকার। যদি আমাদের দিক থেকে কোনো সহযোগিতা লাগে, আমরা করবো।’
গত এক বছরে সিরাজগঞ্জ শহরে চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে ৩৪টি আর দস্যুতার ঘটনা ঘটছে ২টি। এ অবস্থায় পুলিশ বলছে শিগগিরই সিসি ক্যামেরা পুনঃস্থাপন করা হবে।
সিরাজগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজরান রউফ বলেন, ‘অপরাধগুলোতে যারা যুক্ত রয়েছে, তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
সিরাজগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, সে সমস্ত মামলা বা অজ্ঞাত মামলা হয় সেগুলোর ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা থাকলে অনেক সুবিধা হয় আরকি। আমরা এগুলো পুনঃস্থাপনের জন্যউদ্যোগ গ্রহণ করবো।’
অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সিসি ক্যামেরা পুনঃস্থাপনসহ পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি শহরবাসীর।
