তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় সেন্টমার্টিন দ্বীপের গলাচিপার মো. আফসার, আবু তাহের ও মোহাম্মদ আলমগীরের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলার গুলোকে স্পিড বোট যুগে আরাকান আর্মি সদস্যরা ধাওয়া করে জিম্মি করে। এ সময় আফসারের ভাই নুরুল ইসলামের মালিকানাধীন ফিশিং ট্রলারটি পালিয়ে এসে বিষয়টি জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত জেলেদের কোনো খোঁজ খবর পাওয়া যায়নি।’
এর আগে, গত ৫ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩ দিনে ১০টি ট্রলার এবং ৬৩ জন জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছে ট্রলার মালিকরা। গত ২৬ দিনে ১৩টি ট্রলার সহ ৭৮ জনকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি যাদের কোনো খবর পাচ্ছে না স্বজনরা।
আরও পড়ুন:
এ নিয়ে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নাফ নদী ও বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে আরাকান আর্মি ২৮২ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে। এরইমধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রচেষ্টায় কয়েক দফায় ১৮৯ জন জেলে এবং ২৭টি নৌযান ফেরত আনা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে গত ২৮ আগস্ট দুপুরে বিজিবির রামু সেক্টর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত বাংলাদেশি ৫১ জন জেলে আরাকান আর্মির কাছে জিম্মি রয়েছে। সীমান্ত নন-ফ্যাক্টর গোষ্ঠী হলেও তাদের সাথে বিজিবির আন-অফিসিয়াল যোগাযোগ রয়েছে। জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের সাথে আলাপ হচ্ছে, তাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে যেন আর কোনো জেলেকে ধরে নিয়ে যাওয়া না হয়।