নরসিংদীতে ইলেকট্রনিক যন্ত্র মেরামতের বদলে যাওয়া দিনকাল

নরসিংদীর ইলেকট্রনিক যন্ত্র মেরামত করা হচ্ছে
এখন জনপদে
0

যুগের ব্যবধানে বদলে যাচ্ছে নরসিংদীর ইলেকট্রনিক যন্ত্র মেরামতের চিত্র। একসময় মোড়ে মোড়ে রেডিও, ভিসিআর এবং টেলিভিশন মেরামতের দোকান থাকলেও আধুনিকায়নের দাপটে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যবসায়ী। হারানো দিনের ইলেকট্রনিক যন্ত্র ও যন্ত্রিকদের একাল-সেকালের মধ্যে রয়েছে বিস্তর পথচলা।

গান বাজছে স্পিকারে, মেকানিকের মনোযোগ মাদারবোর্ডে, খুঁটিয়ে খুটিঁয়ে দেখছেন সমস্যার উৎস। মেকানিকের মনোযোগ আগের মতো থাকলেও নেই আগেরদিনের জিনিসের কদর।

এক যুগ আগেও নরসিংদী জেলা শহরে টেলিভিশন, রেডিও এবং ভিসিআর মেরামতের দোকান ছিলো একশোর বেশি। যুগের ব্যবধানে তা নেমেছে চার ভাগের এক ভাগে। ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে যেগুলো টিকে আছে তার পরিমাণ শহরে ৩০টির বেশি নয়।

ঐতিহ্য ধরে রাখতেই টিকে আছে শহরের গুটি কয়েক রেডিও, টিভি আর ভিসিআর মেরামতের দোকান। একই অবস্থা রায়পুরার হাসনাবাদ ও শিবপুরসহ জেলার প্রায় প্রতিটি প্রান্তে। এক যুগ আগেও জেলার অন্তত ৫০ হাজার মানুষ যুক্ত ছিলেন এসব যন্ত্রাংশ মেরামতের কাজে। তবে ডিজিটালাইজেশন আর আধুনিকায়নের যুগে প্রায় ৮০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আরও পড়ুন:

ব্যবসায় মালিককেরা জানান, মানুষ আগের মতো আর আসে না। স্মার্ট টেলিভিশনের যুগে এসব জিনিসের কদর নেই বললেই চলে।

মুঠোফোন, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য প্রযুক্তির জনপ্রিয়তায় কালের গহ্বরে হারিয়ে গেছে পুরানো দিনের বোকাবাক্স, রেডিওসহ সংশ্লিষ্ট ইলেকট্রিক যন্ত্র। ভিড় কমেছে মেরামতের দোকানেও। তবে পুরানো এসব যন্ত্রের আবেদন এখনও রয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

সেবা প্রত্যাশীরা জানান, এক সময় তারা এ রেডিও টেলিভিশনের ওপর নির্ভর ছিলো। কালের বিবর্তনে বিলুপ্ত হয়ে গেলেও এর আবেদন এখনো রয়েছে বলে জানান সেবা প্রত্যাশীরা।

বিনোদনের খোরাক যোগানো এসব যন্ত্রের গেল তিনযুগের দিনলিপি তুলে ধরলেন জেলার প্রবীণ মেকানিক। তার দাবি আধুনিকায়নের পাশাপাশি এনালগ মেকানিকদের প্রয়োজন সুষ্ঠু প্রশিক্ষণ।

জেলার সবচেয়ে প্রাচীন দোকান রানা ইলেকট্রনিক্স মো.শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘সরকার যদি মনে করে এ লোকগুলোকে আবার নতুন করে প্রশিক্ষণ দিয়ে কাজে লাগানো যায় তাহলে দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে বলে মনে করি।’

এফএস