সন্ধ্যা থেকে থেমে থেমে মাদরাসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুলুস ফেরতদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৪০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের হাটহাজারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে জশনে জুলুসের গাড়িতে মাদরাসা শিক্ষার্থীরা গরম পানি নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করেছে সুন্নীপন্থিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাটহাজারী মাদারাসার সামনে দাঁড়িয়ে তোলা অশালীন ভঙ্গির ছবি শনিবার ফেসবুকে পোস্ট করলে তা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার পর মাদরাসা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মাদরাসা কর্তৃপক্ষ মাইকে ঘোষণা দিয়ে ছাত্রদের শান্ত থাকতে আহ্বান জানায়।
জানা গেছে, ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ঘটনায় আরিয়ান ইব্রাহীম (২০) নামে এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। আজ সন্ধ্যা ৭টার দিকে জশনে জুলুস থেকে ফেরার পথে ফটিকছড়ি পৌরসভা থেকে তাকে আটক করা হয়।
এদিকে হাটহাজারীর শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আগামীকাল (রোববার, ৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে দেয়া এক আদেশে এ কথা জানানো হয়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন স্বাক্ষরিত আদেশে বলা হয়, আমি মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মুমিন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, হাটহাজারী, চট্টগ্রাম আমার ওপর অর্পিত ক্ষমতাবলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের জীবন ও সম্পদ রক্ষা এবং শান্তি-শৃঙ্খলা স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী উপজেলাধীন মীরের হাট থেকে এগারো মাইল সাবস্টেশন পর্যন্ত এবং উপজেলা গেট থেকে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, হাটহাজারী পর্যন্ত রাস্তার উভয় পাশে এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় আজ ৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ফৌজদারী কার্যবিধি, ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করলাম।
উক্ত সময়ে উল্লিখিত এলাকায় সকল প্রকার সভা সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল, গণজমায়েত, বিস্ফোরক দ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ও সকল প্রকার দেশিয় অস্ত্র ইত্যাদি বহনসহ সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৫ বা ততোধিক ব্যক্তির একত্রে অবস্থান কিংবা চলাফেরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করলাম।