কুষ্টিয়ায় হতদরিদ্র নারীদের তালিকায় চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যর স্ত্রী

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা
এখন জনপদে
0

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় হতদরিদ্র নারীদের জন্য চাল বিতরণ কর্মসূচিতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তালিকায় অসচ্ছলদের নাম না থাকলেও তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের স্ত্রী, একাধিক ইউপি সদস্য ও রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রীর নাম। এ নিয়ে তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

প্রতি মাসে অসচ্ছল দুস্থ নারীদের জন্য স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ৩০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। এরই অংশ হিসেবে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে নির্বাচিত ৯৭ জন নারীর তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। যেখানে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুদ্দিন মুকুলের স্ত্রী আঞ্জুমানা আরার নামও রয়েছে। এছাড়া আছে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের স্ত্রী ও স্বজনদের নামও। এতে ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, চাল দেয়ার জন্য কার্ড তৈরি করা হয়। সেগুলো আমাদের নামে হয় না। আমরা কোনো সুবিধা পাইনা। এলাকায় সুবিধাবঞ্চিত হতদ্ররিদ্র কেউ কার্ড পায় না।

এদিকে, তালিকা তৈরিতে অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্থানীয় এক বাসিন্দা।

অভিযোগকারী বলেন, ‘চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ জেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে এসেছি।’

আরও পড়ুন:

আম্বিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহাঙ্গীর কবির অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিতর্কিতদের নাম তালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।

কুষ্টিয়া মিরপুর আম্বিয়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব এস এম জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘আপনারা বলছেন কয়েকজন মেম্বারের নামে কার্ড আছে। এটি একেবারে মিথ্যা বলবো না এটি অনেকটাই সত্য। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওনারা প্রতি বাড়ি গিয়ে তদন্ত করেছে।’

তালিকায় কিভাবে ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য এবং সচ্ছল ব্যক্তিদের নাম এসেছে তা নিয়ে বিস্মিত নারী বিষয়ক কর্মকর্তা।

কুষ্টিয়া মিরপুর মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা উপজেলা তমান্নাজ খন্দকার বলেন, ‘আমাদের নীতিমালায় বলা আছে, নিয়ম অনুযায়ী কার্ড বাতিল করা হবে।’

এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলছেন, এ ঘটনায় এরইমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। জড়িতদের দ্রুতই আইনের আওতায় আনা হবে।

কুষ্টিয়া মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে। বিষয়টি আমাদের তদন্তেরমধ্যেই আছে। রির্পোট পেলে আমরা আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবো।’

চলতি অর্থবছরে সরকারি চালের কার্ড পেতে আমবাড়িয়া ইউনিয়ন থেকে ১৮৭ জন অনলাইনে আবেদন করেন। এরমধ্যে ৯৭ জনের তালিকা অনুমোদন দেয়া হয়।


এফএস