রাঙামাটিতে পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবসে ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যার বিচার ও পুনর্বাসন দাবি

কাঠুরিয়াকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
এখন জনপদে
0

রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৩৫ কাঠুরিয়া হত্যাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার নেতৃবৃন্দ। একইসঙ্গে আদিবাসী স্বীকৃতির দাবি তোলা দেশবিরোধী চিহ্নিত ষড়যন্ত্রকারী মহলের বিরুদ্ধে সরকারকে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানানো হয়।

আজ (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাকুয়াখালী ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে রাঙামাটি শিল্পকলা একাডেমি হলে আয়োজিত এক শোক সভায় এই দাবি জানান বক্তারা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার সহ-সভাপতি কাজি জালোয়ার সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংগঠনের রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সোলায়মান।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ইব্রাহিম, যুগ্ম সম্পাদক সেলিম উদ্দিন, মো. নজরুল ইসলাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের রাঙামাটি জেলা সম্মেলন বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক ইফতেখার শওকতসহ অন্যরা।

আরও পড়ুন:

এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৯৬ সালে লংগদু উপজেলার পাকুয়াখালীতে ৩৫ জন কাঠুরিয়াকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। এ হত্যাকাণ্ডের ২৯ বছর পার হলেও সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এমনকও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকার পুনর্বাসনের আশ্বাস দিলেও তার বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা সকল গণহত্যার বিচার ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি।

এ গণহত্যার এক বছর পার না হতেই খুনে অভিযুক্ত শান্তি বাহিনীর প্রধান সন্তু লারমার সাথে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চুক্তি সম্পাদন করে তৎকালীন সরকার। শুধু পাকুয়াখালী নয় সন্তু লারমার নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে বহু গণহত্যা হয়েছে।

স্বাধীনতার পরবর্তী সময় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রাম বসবাসরত নিরীহ বাঙ্গালীদেরকে উপজাতীয় সন্ত্রাসীগোষ্ঠী নির্মমভাবে গণহত্যা চালায়।

এদিকে পাকুয়াখালি গণহত্যার বিচারের দাবিতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের পুনর্বাসন ও প্রতি পরিবার থেকে একজনকে সরকারি চাকরি প্রদানের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যােগে আজ সকালে লংগদু উপজেলা মিলনায়তনে শোক সভা, দোয়া ও কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত হয়।

সেজু