এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা গোলচত্ত্বর, ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সাতটি স্থানে সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে, গাছ, বিদ্যুতের খুঁটি ফেলে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে বিক্ষোভ করছেন। এতে দক্ষিণবঙ্গে চলাচলরত ২১ জেলার সকল যানবাহন বন্ধ হয়ে পড়েছে। বিকাল ৪টা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি।
অনেককে পায়ে হেঁটে অবরোধস্থল পাড়ি দিতে দেখা গেছে। বিশেষ করে জরুরি কাজে বের হওয়া যাত্রীরা এমন ভোগান্তিতে পড়েছেন। এছাড়া সকাল থেকে আটকে রয়েছে কয়েক হাজার যানবাহন। খাদ্য কষ্টের মুখে রয়েছে মালবাহী লরি ও ট্রাক চালকরা।
ঢাকা থেকে পরিবারের পাঁচ সদস্য নিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে দেখা যায় একটি পরিবারকে। তাদের সঙ্গে বহনকৃত লাগেজ ও দুজন শিশু রয়েছেন।
আরও পড়ুন:
জানতে চাইলে পুরুষ সদস্য হাবিবুর রহমান জানান, প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ ভোগান্তি পাড়ি দিয়েছেন পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে করে। কিন্তু অবরোধকৃত এলাকায় পায়ে হেঁটে যেতে হচ্ছে।
তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘মানুষকে ভোগান্তি করে আন্দোলনের কোনো মানে হয় না।’
প্রসঙ্গত, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত ৪৬টি সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনে গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। গেজেট অনুযায়ী ফরিদপুরের দুটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এগুলো হচ্ছে ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-৪ এর অন্তর্গত ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়ন পাশের নগরকান্দা উপজেলার সাথে অর্থাৎ ফরিদপুর-২ সংসদীয় আসনের সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই ক্ষোভে ফুসে উঠে স্থানীয়রা।