সিলেটে লুট হওয়া পাথর উদ্ধারের করে ভোলাগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রতিস্থাপনের কাজ চলমান রেখেছে জেলা প্রশাসন। তথ্যমতে, গত এক মাসে প্রায় ৩০ লাখ ঘনফুট পাথর উদ্ধার করে তা প্রতিস্থাপন করেছে জেলা প্রশাসন।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য প্রতিদিনই হাজারো পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে পরিচিত এ এলাকা। কিন্তু, এখন প্রশ্ন উঠছে পাথর প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া নিয়ে। যে প্রাকৃতিক পাথরগুলো ছিলো স্বচ্ছ সাদা, সেখানে এখন নানা রঙের পাথরের সমাহার। তার মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পাথরের মধ্যে ভাঙা পাথর আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্যটকদের মধ্যে। চলার পথে অসাবধানতাবশত এসব ভাঙা ও কাটা পাথরে ঘটছে দুর্ঘটনা।
পর্যটকরা জানান, পর্যটকদের জন্য এটি ক্ষতির কারণ হতে পারে। ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ঘুরতে এসে বড় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারে বলে শঙ্কায় আছেন তারা।
আরও পড়ুন:
পর্যটন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গায় কাটা পাথর ফেলায় ভবিষ্যতে পানির স্বচ্ছতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি ঝুঁকি বাড়ছে পর্যটকদের শারীরিক নিরাপত্তায়। প্রকৃতিকে ঠিক রেখে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমেই এসব পাথর প্রতিস্থাপনের পরামর্শ তাদের।
ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সিলেট আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির লিটন বলেন, ‘প্রশাসনের পক্ষ থেকে কাটা পাথর স্থাপন করার মাধ্যমে পর্যটকরা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে পারেন।’
সিলেট বাপা সাধারণ সম্পাদক কাশ্মির রেজা বলেন, ‘পর্যটকরা এখানে আসেন স্বচ্ছ পানিতে পাথর দেখার জন্য। কিন্তু কাটা পাথরের জন্য পানির গুণগত মান একদিকে নষ্ট হয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের কাছেও এর আকর্ষণ কমে যাচ্ছে।’
উপজেলা প্রশাসন বলছে, বিষয়টি তাদের নজরেও এসেছে। পাথর প্রতিস্থাপন করার সময় বিষয়টি খেয়াল না থাকলেও শিগগিরই কাটা পাথরগুলোকে অপসারণের আশ্বাস প্রশাসনের।
সিলেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রবিন মিয়া বলেন, ‘আমরা আগে স্পটে নিয়ে পাথর ফেলা হচ্ছে। পরে দেখা হবে কোনগুলো কী অবস্থায় আছে। এগুলো আমরা আস্তে আস্তে সরায়ে ফেলছি।’
সাদাপাথরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে ঠিক রাখতে হলে ভবিষ্যতে প্রশাসনের নজরদারি ও কার্যকর ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবি পর্যটন সংশ্লিষ্টদের।