আটককৃতরা হলেন— সৈয়দ আলম (২৯), মো. আব্দুল্লাহ (২২), মো. রিদুয়ান হোসেন (২০), মো. নুরুল আফসার (২০) এবং মো. আব্দুল হাকিম (৪০)। তারা কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ লম্বরি এলাকার বাসিন্দা। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা পাচারকারী চক্রের গোপন কাঠামো ও সদস্যদের বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, দীর্ঘদিনের গোয়েন্দা নজরদারি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ১০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমানের নেতৃত্বে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এ অভিযান চালায়। নাফ নদী দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধভাবে ট্রলারভর্তি মানুষ প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছিল। এ সময় বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে পাচারকারীদের আটক করে এবং পাচার প্রচেষ্টা ভেস্তে দেয়।
আরও পড়ুন:
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে দিনভর টেকনাফের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান চালানো হলেও চক্রের অন্য কোনো সদস্যকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
চলতি বছরের অদ্যাবধি টেকনাফ ব্যাটালিয়নের বিশেষ অভিযানে মোট ৪৭ জন মানব পাচারকারীকে আটক করা হয়েছে। এখনও ২১ জন আসামি পলাতক রয়েছে, যাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেয়া হয়েছে। মানবতা ও দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে সীমান্তে মানব ও মাদক পাচারসহ যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিজিবির জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে।’