পুলিশ সুপার জানান, নিহত আমিনুল নোমানীর কড়া শাসনে ছেলে রেদোয়ানের ক্ষুব্ধ মনোভাব সৃষ্টি হয়। কিছুদিন আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে চেয়েছিল। আত্মহত্যার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় রেদোয়ান। এরপর বিভিন্ন মুভি (সিনেমা) দেখে বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
গত ২ সেপ্টেম্বর দারাজে একটি ধারালো ছুরি অর্ডার করে। ওই ছুরিটি হাতে এসে পৌঁছায় ৫ সেপ্টেম্বর। এরপর সিনেমাটিক স্ট্যাইলে কালো শার্ট, ক্যাপ ও ঘড়ি সংগ্রহ করে মামার বাড়ি থেকে।
আরও পড়ুন:
শরীফুল হক জানান, পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় বাবার পেটে ছুরি চালায় রেদোয়ান। ওই ছুরি তার বাবা ধরে ফেলে, মাফ চেয়ে ছেলের কাছে জীবন ভিক্ষা চান আমিনুল হক। এতে মন গলেনি রেদোয়ানের।
সিনেমা দেখে শেখা পদ্ধতিতে বাবার বুকে, পেটে ও গাড়ের পিছনে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এসময় বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরা ছুটে আসলে ঘরের পিছন দিয়ে বের হয়ে নিরাপদে চলে যায়। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি বাড়ির পিছনের খালে ফেলে দেয়।
সন্দেহভাজন হিসেবে ১২ সেপ্টেম্বর ভিক্টিমের বড় ছেলে রেদোয়ান হককে নিজ বাসা থেকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি পুলিশ উদ্ধার করেছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানান।