রঙিন পাখনার ঢেউ, জলের নরম দোল। অ্যাঞ্জেলফিশ, গোল্ডফিশ, নিওন টেট্রা, গাপ্পি, বেটা, প্লাটি, ফাইটার এবং জেব্রা ড্যানিও। নানাবিধ শৈবাল এবং উদ্ভিদসদৃশ বস্তু- সব মিলিয়ে এক মায়াবী জগত। দেখে মনে হবে সমুদ্রের কোনো তলদেশ। আদতে এটি একটি অ্যাকুরিয়াম।
অ্যাকুরিয়ামের ইতিহাস বেশ পুরনো। ১৮৫৩ সালে, লন্ডন চিড়িয়াখানায় প্রথম পাবলিক অ্যাকুরিয়াম খোলা হয়। সময়ের বিবর্তনে সেই অ্যাকুরিয়াম এখন উপার্জনের মাধ্যম, যা স্থান করে নিয়েছে বাঙালির ড্রয়িংরুমে
এ রঙিন অ্যাকুরিয়াম এখন আর শুধু শখের বস্তু নয়। এটি শিশুদের মুঠোফোন আসক্তি দূর করতে এবং তাদের মধ্যে গঠনমূলক ও যত্নশীল মানসিকতা তৈরিতে সহায়ক।
আরও পড়ুন:
শিশু থেকে শুরু করে মাঝবয়সী পর্যন্ত সব বয়সের মানুষই এখন ঢুঁ মারছেন অ্যাকুরিয়াম শপগুলোতে। যেখানে আকার, প্রজাতি ও মানভেদে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে পাঁচশো টাকায় পাওয়া যাচ্ছে আকর্ষণীয় মাছ। এছাড়া, অ্যাকুরিয়াম সাজসজ্জায় প্রয়োজনীয় উপাদান, যেমন-পাথর, ফিল্টার, অক্সিজেন পাম্প, লাইট, প্ল্যান্টসও বিক্রি হচ্ছে এসব দোকানগুলোতে। ভালো বেচাবিক্রির কথা জানান ব্যবসায়ীরা।
বিক্রেতারা জানান, প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকার বেচাকেনা হচ্ছে। সিজন একটু খারাপ হলে একটু কম বিক্রি হয়। শিল্প এলাকায় দোকান থাকলে বিক্রি আরও বেড়ে যায়।
ক্রেতারা জানান, তারা নিয়মিত মাছ কিনে থাকেন। কিছুদিন আগে তাদের বাসার মাছ মারা যাওয়ায় তারা মাছ কিনতে এসেছেন।
নরসিংদী জেলা শহরে ছোট-বড় মিলিয়ে অ্যাকুরিয়াম শপ আছে প্রায় এক ডজন। পুরো জেলায় সেটি কয়েক গুণ। বছর পাঁচেক আগেও এ সংখ্যা ছিল অর্ধেকেরও কম। শখের বশে শুরু হওয়া এ ব্যবসা তাই এখন নরসিংদীর অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।




