বৈঠকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন জিয়াউর রহমান চৌধুরী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় পরিচালক মো. আনিসুর রহমান, সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুস্তাক আহমেদ ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. মাহবুবুর রহমান, সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন মো. জসীম উদ্দিন এবং সুনামগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পাসে হাসপাতালের কার্যক্রম চালুর আগে পর্যন্ত সপ্তাহে ছয় দিন সুনামগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের ক্লিনিক্যাল ক্লাস হবে। এজন্য তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেখানে পদায়ন করা হয়েছে। তারা এক সপ্তাহের মধ্যে যোগদান করবেন।
এছাড়া জেলা সদর হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য প্রয়োজনীয় বাসের ব্যবস্থা করা হবে। নতুন হাসপাতাল চালু প্রসঙ্গে বৈঠকে দ্রুত অবকাঠামো নির্মাণ কাজ শেষ করতে গণপূর্ত বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
কলেজের শিক্ষার্থী প্রীতিরাজ জানান, আলোচনায় তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহে ছয়দিন ক্লিনিক্যাল ক্লাস, প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে হাসপাতাল চালু করা হবে। ক্লাসে ফেরার বিষয়ে সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুস্তাক আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তাদের দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হবে। শিক্ষার্থীরা এখন ক্লাসে ফিরবেন বলে বৈঠকে আশ্বস্ত করেছেন।’
উল্লেখ্য, পর্যাপ্ত ওয়ার্ড সুবিধা ও কলেজের নিজস্ব হাসপাতালে কার্যক্রম চালুসহ দুই দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য শাটডাউন ঘোষণা করেছে সুনামগঞ্জ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।