কুষ্টিয়ায় বৈরী আবহাওয়াতেও জমে উঠেছে কোরবানির হাট

কুষ্টিয়ায় কোরবানির পশুর হাট
কৃষি , মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ
এখন জনপদে
0

বৈরী আবহাওয়াতেও কোরবানি ঘিরে কুষ্টিয়ায় জমে উঠেছে গবাদি পশুর হাট। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে গবাদিপশু বেচাকেনা। বাজারে ছোট ও মাঝারি গরুর চাহিদা থাকলেও বড় গরু নিয়ে বেশ চিন্তিত ব্যাপারীরা।

আজ (শুক্রবার, ৩০ মে) সকাল থেকেই নিম্নচাপের প্রভাবে এ জেলায় থেমে থেমে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রতিকূলতার মধ্যেও জেলার মিরপুর উপজেলার কাতলামারী পশুহাট ঘুরে দেখা যায়, কোরবানিকে সামনে রেখে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে গরু।

ছোট, বড় ও মাঝারি আকারের গরুগুলো কয়েক বছর লালন পালনের পর বিক্রির জন্য হাটে তুলেছেন খামারিরা। তবে হাটে গরু ক্রেতাদের উপস্থিতি কম থাকায় বেশ চিন্তিত গরু ব্যাপারী ও খামারিরা।

হাটে কিছু ক্রেতাদের আনাগোনা থাকলেও বিক্রি ছিল বেশ কম। অধিকাংশই দেখেছেন, যাচাই করছেন গবাদিপশুর দর-দাম। খামারিরা বলছেন, গবাদিপশু লালন পালনে খরচ বেড়েছে। সে তুলনায় মিলছে না দাম। ভুষি, খুদ, কুড়ার দামও বেড়েছে। গরু পালনে খরচ বাড়লেও গরুর দাম আগের মতোই রয়েছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এ জেলায় এ বছর ১৮ হাজার খামারে কোরবানির জন্য ২ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। কোরবানির জন্য ১ লাখ গবাদিপশুর জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন কোরবানির হাটে এসব গবাদিপশু গুলো বিক্রি হচ্ছে।

কুষ্টিয়া জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আল-মামুন হোসেন মন্ডল বলেন, জেলায় এ বছর ১৮ হাজার খামারে কোরবানির জন্য ২ লাখ গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে।

স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটে ১লাখ গবাদিপশু বিক্রি হচ্ছে। এ জেলার ১৪টি হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতিটি হাটেই মেডিকেল টিম কাজ করছে।

এছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চিতে আনসার ও পুলিশের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। খামারিরা ভালো দাম পেলে এ বছর দেড় হাজার কোটি টাকার ব্যবসায় লেনদেন হবে আশা করছি।


এএইচ