ফরিদপুরে ১০ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজ কিনছেন ক্রেতারা
বাজার , কাঁচাবাজার
এখন জনপদে
0

গত ১০ দিনের ব্যবধানে ফরিদপুরে পেঁয়াজের দর মন প্রতি বেড়েছে হাজার টাকা। বিক্রেতারা বলছেন বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। পেঁয়াজ উৎপাদনে দ্বিতীয় বৃহত্তম জেলা ফরিদপুর। মৌসুমে এ জেলায় আবাদ হয়েছিল ৩৮ হাজার হেক্টর জমিতে, যা থেকে উৎপাদন হয় ৬ লাখ ৭৭ হাজার টন পেঁয়াজ। যদিও মৌসুমের সময় পেঁয়াজের দর চাষি পর্যায়ে এক হাজার থেকে ১৫শ টাকা মনপ্রতি দর পেয়েছে।

কিন্তু দশ দিনের মাথায় ১৫শ টাকার পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ২৫শ থেকে ২৬শ টাকা দরে। খুচরা বাজারে এ ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। এতে ক্ষুব্ধ পেঁয়াজ চাষীরা।

হঠাৎ করেই গত দশ দিনের ব্যবধানে ১৫শ টাকার পেঁয়াজ পাইকারিতে ২৫শ থেকে ২৬শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে এর মূল্য ৭০ থেকে ৭৫ টাকা কেজি। পেঁয়াজের এ দর বৃদ্ধির কারণ হিসাবে ব্যবসায়ীরা বলছেন বাজারে চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ হঠাৎ করে কমে যাওয়া।

এদিকে চাষী ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি মৌসুমে জেলা চাষীরা পাট নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করায় বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ করছে কম। এতে পণ্যটি চাহিদার ঘাটতি হচ্ছে।

ফরিদপুরের কানাইপুর, সালথা, বোয়ালমারী ও নগরকান্দার বাজারগুলো খুচরা পর্যায়ে প্রকার ভেদে কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রয় করতে দেখা যায়। পেঁয়াজের এ লাগামহীন দরে ভোক্তাদের মাঝে অসন্তুষ্ট দেখা গেছে। তাদের প্রত্যাশা সরকার পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

বোয়ালমারীর পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘জেলার চাষীরা এখন পাট জাগ দেওয়া, ধোয়া ও শোকানোর কাজে ব্যস্ত। যে কারণে পাইকারি বাজারগুলোতে পেঁয়াজ কম আসছে।’

একই কথা বলেন, সালথার সাইফুর রহমান। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মৌসুমের সময় চাষীরা পেঁয়াজের দর পায় নি, এখন বড় বড় চাষী ছাড়া কারো হাতে পেঁয়াজ তেমন নেই। যা আছে তা আড়তদারদের কাছে। এখন দাম বেড়েছে লাভ করছে আড়তদাররা। আমাদের তো যা হওয়ার হয়েছে।

ফরিদপুরের কানাইপুর, সালথা, বোয়ালমারী ও নগরকান্দার বাজারগুলো খুচরা পর্যায়ে প্রকার ভেদে পেঁয়াজ বিক্রয় করতে দেখা যায় কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৭৫ টাকায়। পেঁয়াজের এ লাগামহীন দরে ভোক্তাদের মাঝে অসন্তুষ্ট দেখা গেছে। ভোক্তাদের প্রত্যাশা সরকার পেঁয়াজের দামের লাগাম টানতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

ফরিদপুর শহরের চকবাজারে কাঁচাবাজার করতে আসা কয়েকজন বলেন, হঠাৎ করে কেনো পেঁয়াজের দরের এতো ব্যবধান বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনের দেখা উচিত। আমাদের মতো সাধারণ ভোক্তাদের সীমিত আয়ের মানুষের এত দরে কাঁচা পণ্য ক্রয় করা কষ্টকর।

এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় আমরা নিয়মিত বাজার তদারকির অভিযান পরিচালনা করছি। কোনো অসাধু ব্যবসায়ী কেউ যদি অতিরিক্ত পেঁয়াজ মজুদ করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এএইচ