আটক হওয়া সমন্বয়করা হলেন দেবহাটা উপজেলার বহেরা গ্রামের আব্দুল আলিমের ছেলে ছাত্র সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালি গ্রামের আত্তাব মোল্যার ছেলে আব্দুর রহিম ও আশাশুনি উপজেলার আব্দুর রহমান নামের এক সমন্বয়ক।
ইউপি সদস্য গোলাম রব্বানী ও তার ভাই আব্দুর রব জানান, দুপুরে তার বাড়িতে ৫ জন প্রবেশ করে নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেয়। তাদের মধ্যে ৩ জন গোলাম রব্বানীর ঘরে এবং বাকি ২ জন আব্দুর রবের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্র দেখিয়ে ঘরে থাকা ব্যবসার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় বাকি ৩ জনকে আটকে রেখে সাতক্ষীরা সেনা ক্যাম্পে খবর দিলে একটি ইউনিট এসে তাদের আটক করে।
দেবহাটা উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক মুজাহিদ বিন ফিরোজ জানান, আওয়ামী লীগের সময়ে রব্বানী মেম্বর বিভিন্ন অপকর্ম করেছে। তাই জেলা সমন্বয়করা তাকে ধরতে যায়। তারা আমাকে জানালে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। কিন্তু ওই বাড়ির লোকজন মিথ্যা অভিযোগ এনে সমন্বয়কদের ডাকাত বলে অপপ্রচার দিয়ে তাদেরকে ফাঁসিয়েছে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্যর স্ত্রী বাদী হয়ে দেবহাটা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। দেবহাটা থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া হাসান জানান, আটকের বিষয়টি আমি শুনেছি। যেহেতু সেনা সদস্যরা তাদের আটক করেছে, তারা আমাদের কাছে হস্তান্তর না করলে বিস্তারিত বলতে পারছি না।
সেনাবাহিনীর সাতক্ষীরা সদর ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর ইফতেখার আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক তিন জনকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।