মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রধান আসামি ফজর আলী বর্তমানে পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া অন্য আসামিরা হলেন মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর পাঁচকিত্তা গ্রামের সুমন, রমজান, মো. আরিফ ও মো. অনিক।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামে এক নারীর বসতঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনায় অভিযুক্তদের মধ্যে সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিকসহ স্থানীয় আরও কয়েকজন মিলে ঘটনাস্থলে ভিডিও ধারণ করেন এবং ধর্ষণের মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে মারধর করেন।
ঘটনার পর শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজেই থানায় মামলা দায়ের করেন। এরপর পুলিশ পর্নোগ্রাফি আইনে চার যুবককে গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় অভিযুক্ত ফজর আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই মামলায় চারজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।