আটককৃত ব্যক্তিকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে এসে শরীর তল্লাশি করলে মো. হাছানের পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ৫০২ গ্রাম ও মো. শাহাজানের পাঞ্জাবীর পকেট থেকে ৩৯৪ গ্রাম স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়। দুজনের কাছে থাকা মোট ৮৯৬ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালঙ্কার জব্দতালিকা মূলে জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজার মূল্য এক কোটি সাত লাখ চার হাজার তিনশত টাকা।
উল্লেখ্য, স্বর্ণালংকারগুলোর মান ২১ ও ২২ ক্যারেট। আসামি মো. হাছান ও মো. শাহাজানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উদ্ধার করা স্বর্ণালংকারগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাতনামা যাত্রীর মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে আসে।
আটক করা ব্যক্তিরা দীর্ঘদিন যাবৎ বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছে বলে জানা যায়। মো. হাছান ও মো. শাহাজানের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় গতকাল সন্ধ্যায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আটক আসামিরা অজ্ঞাতনামা যাত্রীদের সহযোগিতায় পরস্পর যোগসাজসে অবৈধ পন্থায় সরকারকে রাজস্ব কর ফাঁকি দিয়ে স্বর্ণালংকার নিয়ে এসে নিজ হেফাজতে রেখে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর ২৫বি এর ১ (বি)/২৫-ডি ধারায় অপরাধ করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল কমান্ডার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আমরা নিয়মিতভাবে বিমানবন্দর এলাকায় চোরাচালান রোধ ও অন্যান্য অপরাধ দমনে কাজ করে আসছি। সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণ চোরাচালানের তৎপরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিমানবন্দর ব্যবহার করে যেকোনো চোরাচালান রোধে আমরা বদ্ধপরিকর।’