তবে, এ ঘটনায় এখনও কোনো মামলা করেননি নিহতের পরিবার। ঘটনা তদন্তে আজ (শনিবার, ১২ জুলাই) সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি দল। এ সময় পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তারা। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশের উপ-কমিশনার। তিনি জানান, গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্যের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার আবু রায়হান মো. সালেহ বলেন, ‘এরকম একটা মার্ডার কেসের পরে আমরা অনেকগুলো বিষয় নিয়ে আগাচ্ছি। অনেকগুলো লাইন আমরা পেয়েছি। আমরা আশা করি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মূল অভিযুক্ত যারা এখানে সম্পৃক্ত তাদের আমরা আটক করতে পারবো।’
নৃশংস হত্যাকাণ্ডে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে। বাবাকে হারিয়ে নির্বাক ৮ বছরের মেয়ে জান্নাতুল মাওয়া ও ১২ বছরের জান্নাতুল ফেরদৌস। রাজনৈতিক শত্রুতার জেরে এমন হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পরিবার। জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি স্বজনসহ এলাকাবাসীর।
পরিবারের সদস্যরা বলেন, ‘অনেকে দেখেছে বলে জানিয়েছে যে একজন হেলমেট পড়া ছিলো। আরেকজন মাস্ক খোলা ছিলো। যাওয়ার সময় তারা নাকি গালাগালি করেছে এবং বলেছে পারলে কিছু করে দেখাতে।’
এলাকাবাসী বলেন, ‘তিন দফা ফায়ারিং হয়েছে। প্রথমে ৩ থেকে ৪টা গুলি করে, এরপর কিছু সময় বিরতিতে আবার ৩টা থেকে ৪টা গুলি করে, শেষে ৪টা থেকে ৫টা গুলি করে তারা চলে যায়। আমরা দৌড়ে এসে দেখি মাহবুব উপুড় হয়ে পড়ে আছে। আমরা আগে কখনো এরকম ঘটনা দেখিনি। ৫ আগস্টের পরে আওয়ামী লীগের অনেকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে সেই শত্রুতা থেকে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। আবার কুয়েটে ঝামেলা হয়েছিলো সেখানেও মাহবুব ছিলো সে শত্রুতা থেকেও এ ঘটনা ঘটতে পারে।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে খুলনার দৌলতপুরে মহেশ্বরপাশা এলাকায় বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রাইভেটকার পরিষ্কার করছিলেন মাহবুব। এ সময় হঠাৎ মোটরসাইকেলে করে ৩ দুর্বৃত্ত তার ওপর নয় রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। কেটে দেয়া হয় পায়ের রগ। দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেলে নেয়া হলে মাহবুবকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। খুলনার দৌলতপুর থানা যুবদলের সহ-সভাপতি ছিলেন মাহবুব মোল্লা। কুয়েটে উপাচার্যের পদত্যাগকে কেন্দ্র করে ছাত্রদের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সবশেষ তাকে বহিষ্কার করে দল।