আটককৃতরা হলেন— মো. শরীফুল আলম (৩০) ও মো. জুবায়ের (৩৬)। তারা প্রাইভেটকারযোগে পালানোর চেষ্টা করলেও এপিবিএন সদস্যদের তৎপরতায় ধরা পড়েন। পরে তাদের ব্যবহৃত সিলভার রঙের ঢাকা মেট্রো-গ ৩৭-৫২৫৪ নম্বরের গাড়ির টুলবক্স থেকে ১৩টি কফি রঙের ছোট ব্যাগে রাখা স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের ওজন ১৫৭৭ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১ কোটি ৯২ লাখ ৩৯ হাজার ৪০০ টাকা। এসব স্বর্ণালঙ্কার ২২ ক্যারেট মানের বলে জানিয়েছে এপিবিএন।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই স্বর্ণালঙ্কারগুলো বিভিন্ন দেশ থেকে অজ্ঞাত যাত্রীদের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে দেশে আনা হয়। আটক শরীফুল ও জুবায়ের দীর্ঘদিন ধরে একটি স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত এবং রিসিভার হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অপারেশনাল কমান্ডার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক বলেন, ‘নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চোরাচালান রোধে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি। সাম্প্রতিক সময়ে স্বর্ণ চোরাচালানের প্রবণতা বাড়ছে। তবে আমরা এ ধরনের অপরাধ দমনে তৎপর।’
আটকদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪-এর ২৫-বি(১)(বি)/২৫-ডি ধারায় বিমানবন্দর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।