এর আগে শুক্রবার (৮ আগস্ট) আসামি কেটু মিজান, তার স্ত্রী গোলাপি, স্বাধীন ও আল-আমিন নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
রাতে গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার জাহিদুল হাসান জানান, সাংবাদিক তুহিন হত্যার পর থেকেই পুলিশের একাধিক টিম বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছিল। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করার পর আসামিদের শনাক্ত করা এবং তাদের অবস্থান জানার জন্য চেষ্টা অব্যাহত ছিল। তারই ধারাবাহিকতায় আজ ওই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘তদন্তের সাথে আরো অনেক কিছু এখন বলা যাচ্ছে না। আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। আশা করছি, জড়িত সকলকে দ্রুতই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় মসজিদ মার্কেটের সামনে প্রতিদিনের কাগজ পত্রিকার গাজীপুর প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮) প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক বাদশা নামের এক ব্যক্তিকে চাপাতি দিয়ে আঘাত করে ধাওয়া দেয়। এসময় পাশ থেকে ঘটনাটি ভিডিও ধারণ করছিলেন তুহিন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে দুর্বৃত্তরা শত শত মানুষের সামনে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
আরও পড়ুন:
আহত বাদশা জানিয়েছেন, চৌরাস্তা পার হওয়ার সময় এক নারী টাকা আদায়ের চেষ্টা করলে আমি তাকে আঘাত করি। পরে তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার রবিউল ইসলাম বলেন, ‘এক নারী ও তার চক্র বাদশাকে টার্গেট করে। বাদশা নারীর ফাঁদে না পড়ে তাকে চড় দিলে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তুহিন ভিডিও ধারণ করতে গেলে তারা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে।’