জেলা পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপরই সন্দেহজনক আচরণের কারণে নিহতের ছোট ভাই রানাকে (ছদ্মনাম, বয়স ১৬) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়। পরবর্তীতে রোববার (১০ আগস্ট) সে হত্যার কথা স্বীকার করে। জবানবন্দিতে রানা জানায়, ঘটনার আগের দিন রাতে ৫০০ টাকা চাওয়ায় বড় ভাই টাকা না দিয়ে গালিগালাজ ও দুর্ব্যবহার করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পরদিন সকালে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে খাটের নিচে রাখা ধারালো দা দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় ভাইয়ের ঘাড়ে উপর্যুপরি কোপ দেন।
পরে ঘাতক ছোট ভাই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা বেসিনে ধুয়ে পরিষ্কার করে পুনরায় খাটের নিচে রেখে দেয়। তার পরনে থাকা রক্তমাখা লুঙ্গিও খাটের নিচে রেখে দেয়। ঘটনার পর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে থাকে।
আরও পড়ুন:
পুলিশের ভাষ্যমতে, শুধু টাকার ঘটনাই হত্যার কারণ নয়। রাফি পরিবারের অমতে প্রেম করে বিয়ে করেন, যা নিয়ে মা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তার দীর্ঘদিনের টানাপড়েন চলছিল। এ নিয়ে প্রায়ই পারিবারিক অশান্তি হতো, যা শেষ পর্যন্ত নৃশংস হত্যাকাণ্ডে রূপ নেয়।
ঘাতকের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত দা ও রক্তমাখা লুঙ্গি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে কমলগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।