দুদক কর্মকর্তারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। তারা ওষুধ সংরক্ষণাগার, বহির্বিভাগ, ল্যাব এবং ভর্তি ওয়ার্ডে গিয়ে সেবা প্রদানের মান ও সুবিধা পরীক্ষা করেন। অভিযানের সময় দেখা যায়, জেনারেটর, ইসিজিসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার প্রমাণ পায় দুদক। এছাড়াও পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলো বাইরে ল্যাবে করারও প্রমাণ মেলে।
অভিযানকালে রোগীরা দুদক কর্মকর্তাদের কাছে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন। চন্দনাইশ থেকে আসা রোগী মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘কাল (শনিবার) রাত থেকে পানি নেই ওয়াশরুমে, জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাছাড়াও ডাক্তাররা সব সময় উপস্থিত থাকেন না।’’
আরও পড়ুন:
অভিযান শেষে দুদক সমন্বিত চট্টগ্রাম কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইমরান খান অপু সাংবাদিকদের বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে আমরা আজ আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হঠাৎ অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রাথমিকভাবে কিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছি। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোগীদের মধ্যে ধারণা চলে এসেছে, এখানে ১২টার পরে আর ডাক্তাররা থাকেন না। তাই রোগীরাও ১২টার পর আসেন না।’
অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও মাহতাবউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘যেসব অভিযোগের ভিত্তিতে ওনারা এসেছেন সেসব বিষয় শুনেছি। এসব অভিযোগ নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা নিবো।’