পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ১৮ আগস্ট ভোর রাতে চকপাকুটিয়ার অমল বণিকের বসতবাড়িতে অজ্ঞাতনামা ১০–১২ জন দেশিয় অস্ত্রসজ্জিত ডাকাত প্রবেশ করে। তারা অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রাণীকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, রূপার গহনা, পিতলের প্রতিমা ও মোবাইল ফোনসহ ৬ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
ডাকাতির সময় অমল বাধা দিলে তার বাম হাতের কব্জিতে ছোড়া দিয়ে আঘাত করে। এলাকায় লোকজন ডাক-চিৎকারে টের পেলে ডাকাতরা হিন্দু বাড়িতে পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তাররা মো. সোহাগ মন্ডল নিজেই জবানবন্দিতে দোষ স্বীকার করে। এরপর পুলিশ ও গুপ্তচর সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে মূল হোতা মিন্টুকে নেত্রকোণার কেন্দুয়া থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মিন্টুর দেখানো স্থানে অন্যান্য আসামিদের গাজীপুর মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং লুটপাটকৃত স্বর্ণ ও রূপা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তাররা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে একাধিক ডাকাতিসহ মামলা রয়েছে। অভিযানকালে একটি মোবাইল, ৫ রতি স্বর্ণ ও ৩৪ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়েছে।