গতকাল (মঙ্গলবার, ৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ও আজ (বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর) সকালে এ দুই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের পুলিশ হেফাজতে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার রাতেই নবীনগর ও বসিলা ৪০ ফিট এলাকার খালের সাঁকোর কাছে কয়েক জন ছিনতাইকারী ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাই করে। পরে ভোর ৪টার দিকে আবারও ছিনতাই করতে আসলে এলাকাবাসী চারজনকে ধরে গণপিটুনি দেয়।
তারা আরও জানান, নিহত সুজন ওরফে বাবলু এবং আহত ফয়সাল ছিনতাইকারী ও কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য জনি ওরফে ‘রক্তচোষা জনি’র ঘনিষ্ঠ। দীর্ঘদিন ধরে এ এলাকায় তারা প্রকাশ্যে ছিনতাই করে আসছিল। বহুবার গ্রেপ্তার হলেও অল্পদিনের মধ্যেই জামিনে বের হয়ে আবারও একই কাজে জড়িয়ে পড়ে।
আরও পড়ুন:
তবে গণপিটুনিতে নিহত হানিফের পরিবার জানায়, পূর্বশত্রুতার জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যা করা হয়েছে। নিহত হানিফ ও সুজনকে হত্যাকারী চক্র একই বলেও দাবি করেন তারা।
মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী রফিক বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক হানিফ ও সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। শরীফ ও জুয়েল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। নিহত ও আহত চার জনই এলাকায় সক্রিয় ছিনতাইকারী হিসেবে পরিচিত। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।’