দুদকের প্রধান কার্যালয়ে গঠিত একটি অনুসন্ধান টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। অনুসন্ধান টিমের নেতৃত্বে ছিলেন উপপরিচালক মো. আলমগীর হোসেন। টিমের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জিন্নাতুল ইসলাম ও মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন, সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক (ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম) মো. সোহেল রানা, উপ-পুলিশ পরিদর্শক খালিদ সাইফুল্লাহ, কর পরিদর্শক মো. আবির হোসেন চাকলাদার এবং এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. গোলাম মোস্তফা।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খানের নামে ৩৩০ কোটি ৯৩ লাখ ৫০ হাজার ১০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তার নামে কোনো স্থাবর সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়নি এবং কোনো দায়-দেনাও নেই।
আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি সেখানে স্থাবর সম্পদের কোনো তথ্য উল্লেখ করেননি, যা অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, তার প্রদর্শিত সম্পদের পরিমাণ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এবং সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে তিনি সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
আরও পড়ুন:
এছাড়া তার স্ত্রী আঞ্জুমান আজিজ খানের নামে এক কোটি ৫৭ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯২ টাকার স্থাবর এবং ৯১ কোটি ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৬৮৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ৯২ কোটি ৬২ লাখ ৭৮ হাজার ৭৯ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। আয়কর নথিতে প্রদর্শিত স্থাবর সম্পদের মূল্য প্রকৃত মূল্যের তুলনায় কম বলে অনুসন্ধানে উঠে আসে এবং এসব সম্পদও তার আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করা হয়।
অপরদিকে তাদের কন্যা আয়েশা আজিজ খন্দকারের নামে ৭ কোটি ৬৬ লাখ ১৩ হাজার ৪৪৭ টাকার স্থাবর এবং ২৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ৯ হাজার ৫১৭ টাকার অস্থাবরসহ মোট ২৮৭ কোটি ৪৩ লাখ ২২ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। আয়কর নথিতে প্রদর্শিত সম্পদের মূল্য প্রকৃত মূল্যের তুলনায় কম এবং আয়ের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এ অবস্থায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬ (১) ধারা অনুযায়ী মোহাম্মদ আজিজ খান, আঞ্জুমান আজিজ খান ও আয়েশা আজিজ খন্দকারের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথক তিনটি সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ জারি করেছে কমিশন।—বাসস





