২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন পারাপার ও টোল আদায়

টাঙ্গাইল
যমুনা সেতু টোলপ্লাজা
এখন জনপদে
অর্থনীতি
1

যমুনা সেতু প্রতিষ্ঠার পর সেতুতে রেকর্ডসংখ্যক যানবাহন পারাপার ও টোল আদায় করা হয়েছে। ঈদযাত্রায় গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপারে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ২৮ জুন ঈদ যাত্রাকে উপলক্ষ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৫৫ হাজার ৪৮৮টি যানবাহন সেতু পারাপার হয়। এতে টোল আদায় হয় ৩ কোটি ৫৮ লাখ ৪০ হাজার ২০০ টাকা। 

২০২১ সালের ১৩ মে ২৪ ঘণ্টায় ৫২ হাজার ৭৫৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছিল। আর এতে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ২৪০ টাকা।

আজ (শুক্রবার, ৬ জুন ) যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল নতুন রেকর্ডের বিষয় নিশ্চিত করেছেন। 

সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, ঈদে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। এতে যানবাহনের চাপ ও মহাসড়কে একাধিক গাড়ি বিকল হওয়ায় যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে বাড়ছে যমুনা সেতুতে টোল আদায়ের পরিমাণ। যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার রাত ১২টা থেকে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ৪৩ হাজার ৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। 

এতে টোল আদায় হয়েছে দুই কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ৭০০ টাকা।

অপরদিকে ঢাকাগামী ২১ হাজার ২৮০টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এর বিপরীতে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ২৫০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল বলেন, ‘ঈদে মহাসড়কে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে তিনগুণ বেশি যানবাহন পারাপার হয়। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও যানজট নিরসনে যমুনা সেতু পূর্ব ও পশ্চিম উভয় অংশে আলাদা মোটরসাইকেলের লেনসহ ৯টি করে ১৮টি টোল বুথ স্থাপন স্থাপন করা হয়েছে। সেতুর উপর কোন দুর্ঘটনা ঘটলে সেই জন্য দুটি রেকারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।’ 

প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতুটি চলাচলের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হয়।

সেজু