বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাস্টমস ও আয়কর বিভাগের মাঠ পর্যায়ের দপ্তর এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ৯ মাসে মোট ১৬ হাজার ৫৭২টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযানে মোট ৬ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার ফাঁকির তথ্য উদঘাটিত হলেও এর মধ্যে আদায় হয়েছে ৯৯৪ কোটি টাকা।
এনবিআর জানায়, কাস্টমস হাউসগুলো ২ হাজার ২১৫টি অভিযানে ১৮৩ কোটি টাকার ফাঁকি শনাক্ত করে। এ ছাড়া, ভ্যাট গোয়েন্দা বিভাগ ২৩১টি অভিযানে ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকার ফাঁকি উদঘাটন করে, যার মধ্যে ২৪০ কোটি টাকা আদায় করা হয়। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর পৃথকভাবে আরও ৭৩ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করে।
এ ছাড়া, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ১৮১টি অভিযানে ৩৬৬ কোটি টাকার ফাঁকি ধরতে সক্ষম হয়; যার মধ্যে ১৯৪ কোটি টাকা ইতোমধ্যে আদায় করা হয়েছে। আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট ১৭০টি অভিযানে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার ফাঁকি চিহ্নিত করে, যার বিপরীতে আদায় হয় ১১০ কোটি টাকা।
এনবিআর জানায়, দেশের উন্নয়ন ও রাজস্ব প্রবাহ ঠিক রাখতে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মাঠপর্যায়ের দপ্তর এবং গোয়েন্দা ইউনিটের সমন্বিত তৎপরতার ফলে রাজস্ব ফাঁকি রোধে এনবিআর আগের চেয়ে অনেক বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।